ছোট্ট এ ঘাসফুলের নামের অন্ত নেই। চারটি প্রজাতি আছে বলে জেনেছি। আমি নিজেও তিন প্রজাতির ছবি ধারণ করেছি। কোনটা কোন প্রজাতির তা সনাক্ত করতে পারিনি। সত্যিকার অর্থে প্রজাতি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন বোধ করিনি। সনাক্তকরণ বিশেষজ্ঞগণের ব্যাপার। আমার অধিকাংশ বন্ধুই আমার দলে। তারা ফুল দেখে খুশী হন, কেউ একটা লাইক দিয়ে সরে পড়েন। সে যার যার ব্যাপার! কুলীন গোত্রের ফুল নয়, নিতান্তই ঘাসফুল। কানশিরা ঘাস কী না তাও অজানা। সাধারণ ধারণা, যা গোবাদি পশুর খাদ্য, তাই ঘাস। গোবাদি পশু কাঁঠাল পাতা খায়, তা’বলে কাঁটাল গাছ ঘাস নয়। এরা কি বুনো ফুলের গোত্রের? কি জানি! ঘাসফুলের পোষ্ট দিতে গেলে এক কবির নাম মনে আসে। তিনি ঘাসফুলের জন্য ও ব্যথা অনুভব করেছিলেন।
ঘাসফুল /জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র
আমরা ঘাসের ছোট ছোট ফুল
হাওয়াতে দোলাই মাথা,
তুলো না মোদের দোলো না পায়ে
ছিঁড়ো না নরম পাতা।
শুধু দেখো আর খুশি হও মনে
সূর্যের সাথে হাসির কিরণে
কেমন আমরা হেসে উঠি আর
দুলে দুলে নাড়ি মাথা।
ধরার বুকের স্নেহ-কণাগুলি
ঘাস হয়ে ফুটে ওঠে।
মোরা তারই লাল নীল সাদা হাসি
রূপকথা নীল আকাশের বাঁশি-
শুনি আর দুলি শান্ত বাতাসে
যখন তারারা ফোঁটে।
এর সাধারণ নাম কানছিঁড়া, কানশিরা ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নামঃ Commelina benghalensis L.
স্বপন সরকার