উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের পড়ানো হয় কলমা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে, প্রার্থনা সঙ্গীতের সময় কলমা পাঠ করানো হত পড়ুয়াদের। ইতিমধ্যে স্কুলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিভাবকরা।
কানপুরের ফ্লোরেটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কলমা পড়ানো হত ছাত্রদের। বাড়িতে পড়ার সময় বিষয়টি সর্বপ্রথম নজরে আসে এক অভিভাবকের। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানান তিনি। স্কুল প্রশাসন দাবি করেছে যে, হিন্দু, ইসলাম, খ্রিষ্টান ও শিখ সকল ধর্মের প্রার্থনাই শেখানো হতো বিদ্যালয়ে।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। কানপুরের জেলাশাসকের কাছে স্কুলের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যেই গণ্ডগোলের আশঙ্কায় ওই স্কুলের দু’ টি শাখার সামনেই বিপুল পরিমাণে পুলিশ বাহিনিত মোতায়েন করা হয়েছে। স্কুলের প্রিন্সিপালকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবি তুলেছে বিজেপি মহিলা মোর্চা।
সংগঠনের তরফে গীতা নিগম জানিয়েছেন, অনলাইন ক্লাসের সময়ে কিন্তু পড়ুয়াদের কলমা পড়ানো হত না। কারণ সেই সময়ে অভিভাবকদের চোখের সামনে থাকত পড়ুয়ারা। তিনি বলেছেন, ‘পড়ুয়াদের যদি মুসলিম প্রার্থনা শেখাতে হয়, তাহলে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেওয়া হোক। কলমায় বলা হয়, ‘আল্লাই একমাত্র ঈশ্বর। আল্লা ছাড়া আর কোনও ইশ্বর নেই’।