সকালে রওনা দিয়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের বাড়ি থেকে, আর দুপুরে পৌঁছে গেলেন মায়ানগরী মুম্বইয়ে। আগে অবশ্য জানিয়েছিলেন, ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই যাবেন তিনি। যাইহোক মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব জিইয়ে রেখেই এদিন মুম্বইয়ে ফিরেছেন কঙ্গনা রানাউত। ভয় কাকে বলে, তা বোধহয় জানেন না অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই ফিরবেন। সেই মতো বুধবার সকালে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার ভানওয়ালা গ্রাম থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন কঙ্গনা। মান্ডি থেকে গাড়িতে তিনি মোহালি বিমানবন্দর পর্যন্ত যান, সেখান থেকেই মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন কঙ্গনা। মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কঙ্গনার করোনা-পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। চন্ডীগড় যাওয়ার পথে হামিরপুর জেলার কোঠি এলাকায় মন্দিরেও পুজো দেন কঙ্গনা।হিমাচলের বাড়ি থেকে মুম্বই রওনা হওয়ার আগে এ দিন ফের টুইটারে সরব হন কঙ্গনা। মুম্বই পুলিশকে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। কঙ্গনা লেখেন, ‘‘মণিকর্ণিকা ফিল্মজের অধীনে প্রথমে অযোধ্যা নামের একটি ছবির ঘোষণা হয়। আমার জন্য সেটি শুধুমাত্র ইট-পাথরের কোনও ইমারত নয়, বরং রামমন্দিরের সমান। আজ সেখানে বাবর এসেছে। ফের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। ফের ভাঙা হবে রামমন্দির। কিন্তু একটা কথা মনে রেখো বাবর, মন্দির ফের গড়ে উঠবেই। জয় শ্রী রাম, জয় শ্রী রাম।’’
এদিন মুম্বই বিমাবন্দরে নিরাপত্তা যথেষ্ট বাড়ানো হয়েছিল, কঙ্গনা বিমানবন্দর পৌঁছনো মাত্রই বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শিবসেনা অনুমোদিত ভারতীয় কামগার সেনা-র সদস্যরা। বিমানবন্দর থেকে সোজা বাসভবনে চলে যান কঙ্গনা।প্রসঙ্গত, এদিন এ দিন দুপুরে কঙ্গনার সাধের অফিস ভাঙতে শুরু করে দেয় বৃহন্মুম্বই পুরসভা (বিএমসি)। তা নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিনেত্রী। তাতে সাড়া দিয়ে এ দিন নির্মাণ ধ্বংসের উপর স্থগিতাদেশ বম্বে হাইকোর্ট।
2020-09-10