কংগ্রেসের সভাপতি থাকতে চান না বলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে ৯০ বছরের মতিলাল ভোরাকে দায়িত্ব দিয়েছে দল। এর মধ্যেই কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মুম্বইয়ের কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিলিন্দ দেওরাও। দু’জনেই নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন দলকে।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া টুইট করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, “মানুষের সিদ্ধান্ত আমরা মাথা পেতে নিয়েছি। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের সম্পাদক হিসেবে এই হারের দায় আমার। তাই আমি রাহুল গান্ধীর কাছে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দিয়েছি। আমার উপর বিশ্বাস রেখে এত বড় দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।” মুম্বইয়ের কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরাও রবিবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়াকে উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাহুল। এই রাজ্যে দলের ফল ভালো করার জন্যই এই দুই তরুণ মুখকে এনেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও ভরাডুবি হয়েছে উনিশের নির্বাচনে। ৮০ আসনের মধ্যে ৬২ আসন জিতেছে বিজেপি। এমনকী অমেঠীতে স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে গিয়েছেন রাহুল নিজেও।
লোকসভার ফলে দেখা যায় ৫৪৩ আসনের মধ্যে মাত্র ৫২টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। আর এই ফলের পরেই কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেন রাহুল। যদিও ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলেন, কিন্তু রাহুল নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। অবশেষে গত বুধবার টুইটারে একটি চিঠি লিখে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা করেন রাহুল।
চিঠিতে তিনি লেখেন, “দলকে নতুন ভাবে গড়ে তোলার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২০১৯-এর ব্যর্থতার জন্য অনেক নেতাকে তাঁদের ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। আমি নিজের দায় নিয়ে সরে যাচ্ছি। বাকিদের দায় না নিতে পারলেও নিজের ব্যর্থতা আমি স্বীকার করছি।” এ বার কি রাহুলের কথা অনুযায়ী ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে দাঁড়ালেন জ্যোতিরাদিত্য, মিলিন্দের মতো তরুণ নেতা।