কলকাতার বিজেপি কর্মী অভিজিতের মৃত্যুর ১০৭ দিন পর ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আর এই রায়তে খুশি নারকেলডাঙায় মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা এবং গোটা পরিবার। উল্লেখ্য, একমাত্র বিজেপি কর্মী হিসেবে রাজ্য রাজধানীতে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার বলি হয়েছিলেন অভিজিত্। বাকি সব ঘটনাই ঘটে বিভিন্ন জেলায়।
এদিকে হাই কোর্টের রায়ের পরই অভিজিতের দাদা বিশ্বজিত্ সরকার বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার পেয়েছি। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা নির্বাচনের সময় আমাকে এবং আমার ভাইকে হুমকি দিয়েছিল। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই হামলা চালায় তারা। একদল দুষ্কৃতী আমার ভাইয়ের গলায় টেলিভিশনের তার জড়িয়ে ধরেছিল। তাকে সেই অবস্থায় রাস্তায় টেনে নিয়ে গিয়েছিল। পাথর দিয়ে তাঁর মাথায় মেরেছিল দুষ্কৃতীরা। তবে আমরা অনেকবার অভিযোগ জানালেও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও এফআইআর নেয়নি পুলিশ।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
অভিজিতের দাদার আরও অভিযোগ, ‘কয়েকজন পুলিশ অফিসার পালটা আমাদের হুঁশিয়ারি দেয়। তাঁরা বলেন যে তাঁরা যেই নাম বলে দিচ্ছেন, অভিযোগে সেই নামগুলোই যাতে আমরা নেই। তবে আমরা সেই কথা খারিজ করেছিলাম।’ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোট-পরিবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল। এই রায়ে উল্লসিত বিজেপি শিবির। অপরদিকে, কোর্টের এই রায়ের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বেশ সাবধানী শোনাল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
উল্লেখ্য, ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে এবং সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল। প্রথম মামলা দায়ের করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। তারপর মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। মামলা করেছিলেন নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিতের দাদা বিশ্বজিতও। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট।