সাংবাদিকতা: সুভাষচন্দ্র ও শ্যামাপ্রসাদ – পর্ব ১

সেই অগ্নিযুগে র উত্তাল সময়ে কমবেশি বহু রাজনৈতিক নেতাই সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। ভারতের বাইরে অর্থাৎ বিদেশের বহু প্রবাসী ভারতীয় রাজনৈতিক নেতারা লেখালিখির মাধ্যমে পত্র পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। সে অর্থে অনেকেরই পেশা সাংবাদিকতা ছিল না। কিন্তু “অসির থেকে মসী বড়” ভারতের অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ। তবে বর্তমানের মতো সে সাংবাদিকতা কলুষিত হয়ে যায় নি। গণজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতও ছিল সম্পূর্ণ পৃথক। সে সময় সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা চাণক্যনীতি বোধহয় মেনে চলতে।

উৎসবে ব্যসনে চৈব দুর্ভিক্ষে রাষ্ট্রবিপ্লবে ।
রাজদ্বারে শ্মশানে চ যস্তিষ্ঠতি স বান্ধব ॥

উপনিষদ বলছেন –

পুরুষো বাবা গৌতমাগ্নিস্তস্য বাগেব সমিৎ প্রাণো ধূমো জিহ্বার্চিশ্চক্ষুরঙ্গারা শ্রোত্রং বিস্ফুলিঙ্গাঃ।।

বাক্ই পুরুষের শক্তি। অতএব বাক্ হল সমিধ। মূক হয়ে থাকেন যিনি, যিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন না তিনি অসহায়, অক্ষম। প্রাণই হল ধূম। কারণ অগ্নি থেকে যেমন ধোঁয়া তেমনি মুখ ধুয়ে প্রাণ বায়ু নির্গত হয়। জিহ্বার রঙ লাল আবার অগ্নিশিখাও লাল। অতএব জিহ্বাই যজ্ঞের শিখা। যজ্ঞের অঙ্গার এবং দেহের চক্ষু উভয়েই সমান উজ্জ্বল। আবার যজ্ঞের অগ্নির স্ফুলিঙ্গ যেমন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে তেমনি কর্ণও শব্দগ্রহণের চতুর্দিকে প্রসারিত হয়।

যে সময়ের কথা বলছি সে সময় অনেকের মতো দুই ভিন্নমতের মানুষ সাংবাদিকতায় এসেছিলেন। তাঁদের মত ভিন্ন কিন্তু লক্ষ্য এক। তাঁরা হলে সুভাষচন্দ্র বসু এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সে সময়ে সংগ্রাম জীবনে সাংবাদিকতা বড় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। সুভাষচন্দ্রের নিকট তা অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল পেশাদারিত্বে ভাবনা ও প্রয়োজনে। স্বামী বিবেকানন্দের যোগ্য শিষ্যটি ব্রিটেনের মাটিতে বসেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে #আইসিএসের মোটা বেতনের ব্রিটিশ চাকুরেগিরি করে কোনোভাবেই দেশ সেবা সম্ভব নয়। মেধাবী মস্তিক, মনন ও একাগ্রতা এবং বুদ্ধিদ্বীপ্ত উত্তর – #চতুর্থ স্থান অধিকার করেন তিনি। তাঁর পদত্যাগ এবং চাকরি গ্রহণের অসম্মতি নিয়ে সে দেশের সংবাদপত্রে বেশ লেখালিখি হয়।

সুভাষ সরাসরি পত্র লিখলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে। তিনি ইংরেজের চাকুরি না করে পরিবর্তে দেশে এসে দেশের দশের সেবা করতে চান। বন্ধু মারফত পাঠানো সেই চিঠিতে তিনি দেশবন্ধুর নিকট আবেদন জানান যে , তাঁর যেটুকু বিদ্যা বুদ্ধি আছে তার দ্বারা তিনি শিক্ষকতা বা ইংরেজি কাগজের সাব এডিটরের কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি অবিবাহিত এবং ভবিষ্যতেও বিবাহ বা সংসার করবেন এমন চাহিদা নেই। তাই অর্থের পরিমাণ যৎসামান্য হলেই হবে। কারণ আইসিএস পরিত্যাগ করার পরে গৃহ হতে পুনরায় অর্থ চাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

প্রত্যাবর্তনের পর সুভাষ সরাজ্য দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। পলাতক, কারা সাজা ভোগ করে এসেছেন এমন স্বদেশীদের শিক্ষাদান কেন্দ্র জাতীয় বিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পাশাপাশি তিনি সাপ্তাহিক এবং পরবর্তীতে দৈনিক “বাঙ্গালার কথা” পত্রিকার সম্পাদক হন। এই একই সময় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তখন তিনি #প্রেসিডেন্সিম্যাগাজিনের দায়িত্ব নিয়েছেন। উল্লেখ্য কয়েক বৎসর পূর্বে সুভাষচন্দ্র বসুও ওই কলেজের ম্যাগাজিনের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও #ডিবেটসোসাইটি গঠনের পাশাপাশি ব্রিটিশ অধ্যাপক ওটেনের ছাত্রদের প্রতি নিদারুণ বিশ্রী ব্যবহারের প্রতিবাদে যে ছাত্র ধর্মঘট হয়েছিল তার নেতৃত্বে দিয়েছিলেন। সুভাষ ওটেনকে নিগ্রহ করেন নি , তবে যাঁরা নিগ্রহ করেছিলেন তাঁদের প্রতি প্রকট সমর্থন তাঁর ছিল এবং তাঁদের প্রত্যেককেই তিনি চিনতেন। ওটেনের সঙ্গে ঘটনাটি ঘটে ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। দেশের অপমানের জবাব দিতে সেদিন ওই শিক্ষককে নিগ্রহ করেছিলেন অনঙ্গমোহন। তদন্তকমিটির কাছে কিন্তু তাঁদের নাম সুভাষ প্রকাশ করেন নি। শাস্তিস্বরূপ তিনি প্রেসিডেন্সি থেকে বহিষ্কৃত হন। দেশের স্বাভিমানের স্বার্থে তাঁর ওই স্বার্থত্যাগ সে সময়ের সংবাদপত্রে রবীন্দ্রনাথ , জগদীশচন্দ্র , প্রফুল্ল রায়ের মতো ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

অনঙ্গমোহন দাম

ওটেনকে যে অনঙ্গমোহনই মেরেছিলেন, তা সুভাষচন্দ্র বসু জানতেন। জেল জীবনের সঙ্গী নরেন্দ্রমোহন চক্রবর্তীকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ওই গন্ডগোলের সৎকর্মটি যে কে করেছিল ঠিক বুঝতে পারিনি। মনে হয়, ওই বাঙালটাই (অনঙ্গমোহন দাম) মেরেছিল।’’ পরে আর এক সহপাঠী স্বামী ওঁকারানন্দও বলেন, মারটা তো দেন অনঙ্গমোহন দাম। ওই দিনের ঘটনায় বিপিন দে নামে প্রেসিডেন্সির আর এক ছাত্র ওটেনকে মারেন। প্রেসিডেন্সির ঘটনা নিয়ে অনেক পরে ওটেন সাহেব বলেন, তিনি ওই সময় সুভাষকে দেখেননি। যদিও তিনি জানতেন, সুভাষ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে শুধুমাত্র বংশীলাল নামে এক বেয়ারার সাক্ষীর ভিত্তিতে সুভাষ ও অনঙ্গমোহনকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সুভাষ নিজেও এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেননি। তিনি লিখেছেন— মিস্টার ওটেন… ওয়াজ় বিটেন ব্ল্যাক অ্যান্ড ব্লু। অনঙ্গমোহন স্বয়ং লিখেছেন, ‘‘ওটেন পড়ে গেলে আমি ও বিপিন দে তাঁকে দু-চার ঘা দিই। ওই মারামারিতে সুভাষ ছিল না।’’ নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা ‘নেতাজি সঙ্গ ও প্রসঙ্গ’ বইটিতেও এই বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। নেতাজির আর এক সহপাঠী প্রমথনাথ সরকার লিখেছেন, ‘‘তখন তিনটে কি চারটে বাজে, শেষ পিরিয়ডের শেষে ওটেন সাহেব সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন। তখন হিন্দু হস্টেলের কয়েকজন বাছা বাছা ছেলে, যাঁরা পূর্ববঙ্গ থেকে এসেছিল, তাঁরাই মেরেছিল।’’ সুভাষচন্দ্রও এক জায়গায় উল্লেখ করেছেন, ওই দিন সন্ধ্যায় ভারতীয় ছাত্রদের মধ্যে কেউ কেউ নিগ্রহের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছাত্রদের নামের তালিকা তৈরি করে ওটেনকে দেয়, তাতে তাঁর নাম অন্যদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল।

রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি #আত্মশক্তি পত্রিকা , #ফরোয়ার্ড, #লিবার্টি ইত্যাদি সংবাদ পত্রগুলির সম্পাদক কিংবা ম্যানেজিং বোর্ডের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থেকেছেন সুভাষচন্দ্র। তাঁর বারংবার জেল যাত্রা, শারীরিক নির্যাতন এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বে দানের পরিধি যত প্রসারিত হয়েছে দেশ ও বিদেশে তাঁর কলমের গতি অসির ধারের ন্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সংবাদপত্রের জন্য বিদেশের প্রতিনিধি রাখার সূচনা তিনিই প্রথম করেন। তাঁর নিজস্ব পত্রিকাগুলো ব্যতীতও বিভিন্ন বৈদেশিক এবং দেশীয় অন্য ভাষার পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হত।

” রয়টর” সংবাদ সংস্থাকে হারাতে হবে এই মর্মে তিনি সতীর্থকে একবার এক চিঠি লিখেছিলেন। এশিয়ার প্রথম পুর পত্রিকা ” কি” তাঁরই মস্তিক প্রসূত। অমলহোমকে সম্পাদক করেছিলেন সুভাষচন্দ্র উক্ত পত্রিকার জন্য এবং সার্থকভাবে পত্রিকাটি পরিচালিত হয়। “তরুণের স্বপ্ন” , “দেশের ডাক” ইত্যাদি বইগুলো তরুণ দেশব্রতীদের উদ্বুদ্ধ করতে সুভাষ নিজেই রচনা করেছিলেন। সুভাষচন্দ্র বসুই প্রথম লেখক যাঁকে লন্ডনের #উইশার্টপ্রকাশন সংস্থা গ্রন্থ লেখা শুরুর পূর্বেই অগ্রিম অর্থ প্রদান করেছিল। সুভাষের রচিত #ইন্ডিয়ানস্ট্রাগল গ্রন্থটি সমগ্র এশিয়া ও ইউরোপের নানা পত্র পত্রিকায় রাজনৈতিক মহলের প্রশংসিত হলেও ভারতে উইশার্ট কোম্পানির গ্রন্থটির প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ব্রিটিশ সরকার।

রাসবিহারী বসুর একটি পত্র থেকে জানা যায় যে , জাপানের একটি সংবাদপত্রে “ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল” গ্রন্থটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। এই সময় সুভাষ ইউরোপে। দেশের আপোষকামী কংগ্রেস নেতৃত্বের মনোভাবে বিরক্ত হয়ে সুভাষচন্দ্র অনুভব করেছিলেন আসন্ন বিশ্বযুদ্ধের সুযোগে ব্রিটিশ রাজশক্তিকে পরাজিত করতে হলে বিদেশের মাটি থেকে সশস্ত্র সংগ্রাম অপরিহার্য। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে দেশ থেকে রহস্যময় অন্তর্ধান পর্বকালেও তাঁর বিরুদ্ধে সাপ্তাহিক ফরোয়ার্ড ব্লক পত্রিকার সম্পাদকীয় হিসাবে #দ্যাডে অব_রেকনিং লেখার অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য সুভাষচন্দ্র বাঙ্গালার কথা, আত্মশক্তি ইত্যাদি পত্রপত্রিকায় সেকালের বহু তরুণ জাতীয়তাবাদী প্রতিভাকে সম্মিলিত করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল এবং শিবরাম চক্রবর্তী প্রমুখের লেখাতেও সমৃদ্ধ হয় সুভাষচন্দ্রের পত্রপত্রিকাগুলো।

স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের সুপুত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনিষ্ঠ উপাচার্য ছিলেন। দীর্ঘকাল তিনি দায়িত্ব পালন করার পর রাজনৈতিক জগতেও প্রবেশ করেন। ১৯২৩ থেকে ২৪ সালে তিনি ইংল্যান্ডের মিস্টার প্যাট লোভেট সম্পাদিত #ক্যাপিটাল পত্রিকায় Ditchers Diary সম্পাদকীয় স্তম্ভে ছদ্মনামে নিয়মিত লিখতেন। ১৩২৮ বঙ্গাব্দে কলকাতার বাড়ী থেকে #বঙ্গবাণী পত্রিকা ফাল্গুন মাসে প্রকাশিত হয়। শ্যামাপ্রসাদ ও তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা রমাপ্রসাদের উৎসাহে ও প্রযত্নে, পিতা স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের সক্রিয় সহানুভূতিতে এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়। #আবারতোরা মানুষ হ এই ছিল এই পত্রিকার বাণী। বঙ্গবাণীর শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে। মোট আয়ুষ্কাল ছিল ছয় বৎসর।

বঙ্গবাণীর সম্পাদনা দীনেশচন্দ্র সেন ও বিজয়চন্দ্র মজুমদার করলেও শ্যামাপ্রসাদ নিজে এই পত্রিকায় বিভিন্ন কবি , লেখক ও সাহিত্যিকদের রচনা সংগ্রহের ভার গ্রহণ করেন। প্রথম বঙ্গবাণী পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত উপন্যাস #পথের_দাবী প্রকাশিত হয়। গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলে ব্রিটিশ সরকার গ্রন্থটি বাজেয়াপ্ত করে। ১৯২৬ সালে পথের দাবী প্রকাশের আগে উপন্যাসের অপমৃত্যু ঘটেছিল। শ্যামাপ্রসাদ তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। সেই পত্রিকায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত লেখা দিতেন। একদিন শ্যামাপ্রসাদ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে লেখার জন্য গেলে তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে তাঁর হাতে কোনও লেখা পত্রিকায় দেওয়ার জন্য নেই।’’


যুবক শ্যামাপ্রসাদের শরৎবাবুর লেখার ঘরের পরিত্যক্ত বাক্সের ওপর চোখ পড়ে। তিনি দেখেন, একগুচ্ছ কাগজ মোড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি পড়ে বলেন, ‘‘এই লেখা আমার চলবে।’’ শরৎচন্দ্র হেঁয়ালি করে বলেছিলেন, ‘‘তোমার বাড়িতে জজ ব্যারিস্টার আছে, তোমরা এ লেখা ছাপাতে পারো, আমি পারি না।’’ একটি হারিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক উপন্যাসের জন্ম হল- সেই উপন্যাস শরৎচন্দ্রের বহু বিতর্কিত ‘পথের দাবী’।

বঙ্গবাণীতে শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের বিখ্যাত ছোট গল্প #মহেশ, #অভাগীরস্বর্গ, নজরুলের #কাণ্ডারীহুঁশিয়ার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের #তোমারবীণায়গান_ছিল, #ভাঙ্গামন্দির প্রভৃতি প্রকাশিত হয় এবং ইতিহাস রচনা করে। সাহিত্যের ছাত্র শ্যামাপ্রসাদের পক্ষে যতদিন সম্ভব হয়েছে পারিপার্শ্বিক নানা ঝড় সামলে সাংবাদিকতার ধারাবাহিকতাকে বজায় রেখে গেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতি , আন্তর্জাতিক সাহায্যপুষ্ট ভারতীয় ভারতীয়মুক্তি সংগ্রামের নেতৃত্বের দায়িত্বে থাকা সুভাষচন্দ্রেরও সম্ভব হয় নি অনন্তকাল ধরে লেখালিখিতে যুক্ত থাকার। কিন্তু উভয়েই সংগ্রামের বার্তা, দেশের বার্তা , মানুষের বার্তা অখণ্ড ভারত তথা সকল বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য বারবার ব্যবহার করেছেন গণমাধ্যমকে।

ক্রমশঃ

©দুর্গেশনন্দিনী

তথ্যঃ সুভাষচন্দ্র থেকে শ্যামাপ্রসাদ: অনৈক্য থেকে ঐক্যে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.