ফের এক বড়সড় ধাক্কা কংগ্রেস শিবিরে। ভোটের মুখেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন আরও এক নেত্রী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপস্থিতিতে প্রতাপগড়ের র্যালিতে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন সাংসদ রত্না সিং।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ সিং-এর মেয়ে এই রত্না সিং। দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকা পরিবারের সঙ্গে গান্ধী পরিবারেরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে জানা যায়। সূত্রের খবর, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সক্রিয় হওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের ছন্দপতন। তার জেরেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে।
কংগ্রেসের টিকিটে ১৯৯৬, ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে জয়ী হয়েছিলেন রত্না। অর্থাৎ তাঁর এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। তাই, তাঁর এভাবে বিজেপিতে চলে যাওয়ায় কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, এই প্রতাপগড়েরই একদিকে আমেঠি আর অন্যদিকে রায়বরেলি। সদ্য লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি হারিয়েছে কংগ্রেস। সেখানে এখন সাংসদ বিজেপির স্মৃতি ইরানি।
রায়বরেলিতেও অদিতি সিং ও রাকেশ সিং নামে দুই কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়ার জন্য তৎপর। শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বাকি। রত্না সিং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর কার্যত কংগ্রেস গড়ে কোনঠাসা হয়ে গেল এই দল। এর আগে সাংসদ সঞ্জয় সিং কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন দুই প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা। হরিয়ানা ভোটের আগে অবশ্যই যা কিনা বড় ধাক্কা কংগ্রেসের কাছে।
শনিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহার লাল খট্টরের হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তাঁরা। দুজনের হাতেই দলীয় পতাকা তুলে দেন তিনি। যাদের মধ্যে একজন তরুণ ভাণ্ডারী প্রদেশ কংগ্রেসের ট্রেজারারের দায়িত্বে ছিলেন অপরজন সন্তোষ শর্মা স্থানীয় কংগ্রেসে এক প্রভাবশালী নাম বলেই মনে করে রাজনৈতিকমহল। ভোটের কয়েকদিন আগে দুই নেতার বিজেপি যোগ বেশ কিছুটা মাইলেজ দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
মুখ্যমন্ত্রী মনোহার লাল খাট্টা জানিয়েছেন, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসার জন্যে দুই নেতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপি সরকার একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। সেই উন্নয়নের কাজে শরিক হতেই কংগ্রেস ছেড়ে তাঁরা বিজেপিতে এসেছেন বলে দাবি করেছেন খট্টর।