দেশের প্রথম সারির টেলিকম সংস্থার মধ্যে পরিষেবায় এক নম্বর জায়গা পেল মুকেশ আম্বানির জিও। শুধু ভারতে নয়, বিশ্বে এই প্রথম কোনও টেলিকম সংস্থার নেটওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স স্কোর এত বেশি।
লন্ডনের মোবাইল বিশ্লেষক সংস্থা ‘ওপেনসিগন্যাল’ এক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভারতের ৯৭.৫ শতাংশ এলাকায় রয়েছে জিও-র নেটওয়ার্ক। মাস ছয়েক আগেও যেটা ছিল ৯৬.৭ শতাংশ।
ওই সংস্থা প্রকাশিত ‘মোবাইল নেটওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স’ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বে এই প্রথম এমন কোনও টেলিকম সংস্থার খোঁজ মিলল যার নেটওয়ার্ক কোনও দেশের এত বেশি এলাকায় বিস্তৃত। এত কম সময়ে এত বেশি নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে ফেলাকেও রেকর্ড বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
টেলিকম পরিষেবায় অনেক এগিয়ে থাকা আমেরিকায় দু’টি সংস্থার নেটওয়ার্ক ৯০ শতাংশের বেশি, তাইওয়ানে এমন সংস্থা রয়েছে চারটি কিন্তু কোথাওই কোনও সংস্থার নেটওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স স্কোর ৯৫ শতাংশের উপরে নয়।
ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে ইউরোপের সব থেকে বেশি মোবাইল পরিষেবায় এগিয়ে থাকা দেশ নেদারল্যান্ডসে একটি মাত্র সংস্থা ৯৫ শতাংশের বেশি নেটওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স স্কোর। জাপানেও দু’টি সংস্থার।
ওই রিপোর্টের দাবি, ইদানীং নিজেদের নেটওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স স্কোর অনেকটা বাড়িয়ে ভারতী এয়ারটেল ৮৫ শতাংশে পৌঁছেছে। ওই রিপোর্টে ভারতের প্রধান চার সংস্থার ‘ডাউনলোড স্পিড এক্সপেরিয়েন্স’ স্কোরও দেওয়া হয়েছে। তাতে অবশ্যে সবার পিছনে জিও-র স্পিড ১.৯ এমবিপিএস। প্রথমে থাকা আইডিয়ার স্পিড ৩.৮ এমবিপিএস। এর পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা ভোডাফোন ও এয়ারটেলের স্পিড যথাক্রমে ৩.২ ও ২.৬ এমবিপিএস।