মুসলিম জেহাদি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার আন্ডারগ্রাউন্ড কর্মীদের গ্রেফতার করতে ফের তল্লাশি অভিযান চালাল এনআইএ। কেরলের ৫৬ জায়গায় একযোগে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
২০২০ সালে বেঙ্গালুরু দাঙ্গার নেপথ্যে হাত রয়েছে পিএফআইয়ের বলে দাবি তদন্তকারীদের। ২০২১ সালে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে হওয়া অসমের সংঘর্ষের নেপথ্যে ছিল মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বলেও অভিযোগ। দেশজুড়ে এনআইএ অভিযানের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে পপুলার ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পিএফআইয়ের পাশাপাশি আরও আটটি সংগঠনের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর অভিযোগ রয়েছে নিষিদ্ধ মৌলবাদী সংগঠনটির বিরুদ্ধে। এনআইএ সূত্রে খবর, এদিনের অভিযান মূলত পপুলার ফ্রন্টের ‘অভারগ্রাউন্ড ওয়ারকার্স’ দের বিরুদ্ধে ছিল। এই কর্মীরা সংগঠনেক কোনও বড় পদে নেই। উপর মহলের নির্দেশ মাফিক এরা কাজ করে। সেই নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতেই রেড চালানো হয়েছে।
চলতি মাসেই কেরলের এক আদালতে পপুলার ফ্রন্টকে নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে এনআইএ। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা জানান, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ভারতে নিষিদ্ধ সংগঠনটির নেতাদের। বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে কথা হত তাদের মধ্যে। আল কায়দার সঙ্গে যৌথভাবে ভারতে একটি গোপন শাখা তৈরি করার চেষ্টা করছিল পিএফআই। নির্দিষ্ট সময়ে নাশকতার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ দেওয়ার কথা ছিল তাদের। সম্প্রতি দেশজুড়ে পিএফআইয়ের দপ্তরে চলা অভিযানের পর এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।