ফের অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল পশ্চিমবঙ্গ। ফের গণতন্ত্র খুন করা হল শাসক দলের দুষ্কৃতীদের হাতে। এরাজ্যে পুলওয়ামা ঘটনার পর শহীদ জওয়ানদের অপমান করে পাকিস্তান প্রীতি দেখানো হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) এবং ওনার দল তৃণমূল (All India Trinamool Congress) চুপ থাকে। এমনকি যারা পাকিস্তান প্রেম দেখায়, তাঁদের কান ধরে উঠবস করালে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ করেন, আর বলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) আর আরএসএস (RSS) এর লোকেরা এরাজ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে মানুষের থেকে। কিন্তু সেই মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর দলের দুষ্কৃতীরা ‘জয় শ্রী রাম” বললে রেগে লাল হয়ে যান। কখনো তাঁদের জেলে পোড়া হয়, তো কখনো তাঁদের তালিবানি কায়দায় কুপিয়ে খুন করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কাছে ‘মোদী” নাম যেমন সহ্য হয়না, তেমনই ‘জয় শ্রী রাম” স্লোগান ও সহ্য হয়না। এর জন্য তিনি ‘জয় শ্রী রাম” স্লোগানকে সরসরি গালি গালাজ বলে সম্বোধন করে থাকেন। আর ওনার দলের লোকেদের সামনে প্রভু শ্রী রামের নামে ধ্বনি দিলেই, তাঁকে প্রাণ হারাতে হয়। এটাই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় গণতন্ত্র আর বাক স্বাধীনতা।
এরকমই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেলো কেতুগ্রামে। বিজেপির বিজয় মিছিলে ‘জয় শ্রী রাম” বলার অপরাধে বিজেপির এক কর্মীকে ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে খুন করলো তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার কেতুগ্রামে বিজয় মিছিল বের করার কথা ছিল বিজেপির। আর বিজয় মিছিলের আগে এলাকায় পতাকা লাগাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী সুশীল মণ্ডল। পতাকা লাগানোর সময় ‘জয় শ্রী রাম” স্লোগানও দেন তিনি। আর সেই স্লোগানই পছন্দ হয়নি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। শুধুমাত্র জয় শ্রী রাম বলার অপরাধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় সুশীল মণ্ডলকে।
কেতুগ্রাম থানায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সুশীল মণ্ডলের পরিবারের পক্ষ হইতে। যদিও সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ২৪ ঘণ্টা আগেই বিজেপির উপর লাশ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। উনি বলেছিলেন, এরাজ্যে বিজেপির যত কর্মী খুন হয়েছে, সব পারিবারিক বিবাদের কারণে, রাজনৈতিক কোন কারণ নেই। আর ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই, আবার তৃণমূলের হাতে খুন এক বিজেপি কর্মী। যদিও কদিন পর এটাকেও পারিবারিক বিবাদ বলে চালিয়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।