রোমাঞ্চে ভরা শুক্রবার গোটা রাত। টানটান উত্তেজনা। ইতিহাস গড়ে চাঁদের মাটি ছোঁবে ভারতের মহাকাশ যান বিক্রম। কিন্তু শেষমুহূর্তে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিক্রমের সঙ্গে। ভেঙে পড়েন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু আশা ছাড়েননি। চালিয়ে গিয়েছেন যুদ্ধ। আর তাই ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর আশার আলো দেখলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ইসরোর চেয়ারমান কে সিবান জানিয়েছেন, ক্যামেরাতে ইতিমধ্যে বিক্রমের ছবি ধরা পড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যাতে সেটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
শুধু তিনিই নয়, ইসরোর তরফে এহেন বক্তব্য আশার পর থেকেই বুক বেঁধেছে দেশের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরাও। তাঁরাও ইসরো চেয়ারম্যানের সুরেই সুর মিলিয়েছেন। দেশের বিজ্ঞানীদের মতে, একটা বড় চিন্তা ছিল যে চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিংয়ের সময় বিক্রম ঠিক রয়েছে কিনা। সেটা ভেঙে যে যায়নি তা পরিস্কার। ফলে সেটা থেকে সঙ্কেত পাওয়াটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন তাঁরা।
কে সিবান জানান, ল্যান্ডার বিক্রমের একটি থার্মাল ইমেজ ধরা পড়েছে অরবিটারে। অরবিটারটি চাঁদের চারপাশে কক্ষপথে ঘুরছে। তাতেই ধরা পড়েছে ছবি। তিনি জানিয়েছেন, যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছেল খুব তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।
ফলে নতুন করে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে গোটা ভারতবাসী। বিক্রমের খোঁজ পাওয়ার পরেই দেশবাসীর একটাই প্রার্থনা, দ্রুত যাতে সঙ্কেত পাঠাতে শুরু করে সেটি। আর তা পাঠানো শুরু করলে মহাকাশ গবেষনায় একটা দিগন্ত খুলে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার মাঝরাতটা যেন কেটেছে দুঃস্বপ্নের মত। ইসরো জুড়ে হতাশা। মাত্র কয়েক মিনিট দূরে থমকে যায় ইতিহাস। কিন্তু বিজ্ঞান থেমে থাকেনি। তাই ভারতের গবেষণা যে আবার মোড় নেবে, সেকথা বারবারই উঠে আসতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে। পাশে থেকে বার্তা দিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ভারতের যেসব মানুষ রাত জেগে একটা মিরাকলের জন্য প্রার্থনা করলেন, তাঁরাও বলছেন, ‘এখানেই শেষ নয়।’ আর সেটাই হতে চলেছে এবার। ইতিমধ্যে মহাকাশ গবেষণার আর এক পীঠস্থান নাসা থেকে বার্তা এসেছে ইসরোর কাছে। নাসার তরফ থেকে রীতিমত স্যালুট জানানো হয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে।