করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় টালমাটাল গোটা দেশ। সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। আবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অক্সিজেন, টিকা জোগান নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার ‘মন কি বাত’-এর মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বললেন, “লড়াই কঠিন। তবে ভারত বরাবর কঠিন চ্যালেঞ্জ জিতে এসেছে। এবারও কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে লড়াই করছে।” তবে সেই যুদ্ধজয়ের ব্লু প্রিন্ট কী, তা নিয়ে এদিনও স্পষ্ট দিক নির্দেশ করতে পারলেন না তিনি।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসা পরিকাঠামো, অক্সিজেন কিংবা টিকার সংকট নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসছে। অনেকেই মনে করেছিলেন এদিন এই পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের তরফে প্রধানমন্ত্রী সদর্থক বার্তা দেবেন। কিন্তু ৪০ মিনিটের এই ভাষণে সেসব নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করলেন না মোদি। বরং আগের মতোই কঠিন পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন তিনি। ‘মন কি বাতে’ উঠে এল ‘তাওকতে’ এবং ‘যশে’র কথাও। দেশবাসীকে কুর্নিশ জানিয়ে মোদি বললেন, “করোনা পরিস্থিতির মাঝে ঘূর্ণিঝড়েরও মোকাবিলা করছে দেশবাসী। রাজ্যগুলি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা মেনে এই লড়াই লড়েছে রাজ্যগুলি।” যশ বিধ্বস্ত তিন জেলা ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিনের ‘মন কি বাত’-এ অক্সিজেন ট্যাঙ্কার চালক, সেনাবাহিনীর জওয়ান, ল্যাব টেকনিশিয়ান প্রতিনিধি ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিড-যোদ্ধাদের লড়াইকেও কুর্নিশ জানালেন তিনি। উঠে এল গত সাত বছরের মোদি সরকারের সাফল্যের খতিয়ান। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “গত সাত বছরে বহু সাফল্য এসেছে। কারণ দলের ঊর্ধ্বে দেশের হয়ে কাজ করছে সরকার। একজোট হয়ে দলগত হয়ে কাজ করেছে। যা এর আগে দেশে কখনও হয়নি। চিরাচরিত ঢঙে কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেন তিনি।
তবে এদিন প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাতে’র তুমুল সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, “করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সঠিক পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের দরকার। শুধু অর্থহীন কথা বললেই চলে না।” নরেন্দ্র মোদিকে ‘ইভেন্ট ম্যানেজার’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।