এখন সব মেকি সেকুলার, ভণ্ড মার্কস-মাওবাদী(সেকু-মাকু), দ্বিচারী প্রগতিশীলেরা চুপ। সবার মুখে কুলুপ। এদের সঙ্গে কলকাতার তথাকথিত সুশীল সমাজ–ওই যে কথায়-কথায় মোমবাতি নিয়ে রাস্তায় বেরোত–ভাড়াটে বুদ্ধিজীবীরা(বলা ভালো–বুদ্ধি দিয়ে যারা জনগণকে উল্লু বানায়, বিভ্রান্ত করে), ধান্দাবাজ শিল্পী, সুলুকসন্ধানী সাহিত্যসেবীরা কই? কই গো আপনারা–সাড়া শব্দ নেই যে?
ওই যে লালঝান্ডু বামেরা যারা একসময় কিউবা, বলিভিয়ার জন্য কেঁদে বান নামাত–বুক চাপড়ে শ্লোগান দিত : “ভুলতে পারি বাপের নাম, ভুলব নাকো ভিয়েতনাম”–এরা এখন গা ঢাকা দিয়ে কেটে পড়েছে। এদের কাছে আফগানিস্থান কোনো ইস্যু নয়। কেননা, জিহাদিরা এদের নজরে “বিপ্লবী”। তালিবানের মসনদ দখল এদের দৃষ্টিতে পশ্চিমী শাসন থেকে স্বাধীনতা। মনে নেই, কাশ্মীরে ৩৭০ তুলে দেবার পর সীতারং ইয়েচুরি কাশ্মীরি ‘কমরেডদের’ মুক্তির জন্যে আর্তনাদ করে উঠেছিলেন, এবং ছুটেছিলেন ওখানে। এরা চিরকাল মৌলবাদীদের দোসর। বাঁকা চাঁদ আর জং-ধরা কাস্তের কোথাও যেন একটা গোপন আঁতাত আছে। এই যে, এক মুহূর্তে তালিবানদের পাশে দাঁড়াল চিন। আর, চিন যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাও-সন্ত্রাসবাদী দেশ, সেটা তো প্রমাণিত। মুখে প্রগতিশীলতা মারে, আর তালিবানদের মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে সমর্থন করে।
এ তো হোনাহি থা। আফগানিস্থানে এ নতুন নয়। দুখানা আসমানি কেতাবের অপব্যাখ্যার পরিণাম চোদ্দশ বছর ধরে ভুগছে গোটা মানব সভ্যতা। কাল্পনিক ধর্মরাষ্ট্র, মুখে শান্তির ধম্ম, মরার পর বাহাত্তর হুরির যৌনসেবার প্রলোভন…এসবের খেসারত দিতে হচ্ছে মানুষের পৃথিবীকে। এক হাতে তরবারি, অন্য হাতে আসমানের কেতাব–কোনটা বেছে নাও, তোমার ইচ্ছা। রক্তের ইতিহাস। মারদাঙ্গা, খুন, বিশ্বাসঘাতকতা, ধর্মের নামে চরম অন্ধ গোঁড়ামি–এ তো নতুন নয়। জোর করে ধর্মান্তরকরণ, জবরদস্তি বিয়ে, নারীভোগ, ধর্ষণ, ‘গনিমতের মাল’ লুণ্ঠনের অবাধ স্বীকৃতি–ইতিহাসের পাতায়-পাতায়।
তালিবানেরা তো এই সেদিনের। মহম্মদ ওমর নামে এক মৌলানা ১৯৯৪ সালে ছাত্রশিক্ষার নামে ধর্মজঙ্গি তৈরির মাদ্রাসা-কারখানা খোলে। ‘তালিবান’ শব্দের অর্থই হল ‘ছাত্র’। সবচেয়ে বড় তথ্য হল, আফগানিস্থানে নয়, পাকিস্থানে এই তালিবানি মাদ্রাসা তৈরি হয়েছিল। বাইরে ধর্মশাস্ত্র। ভেতরে জিহাদি উৎপাদন। ছোট -ছোট কমবয়সী ছেলেদের মগজধোলাই করে চিরদিনের জন্য ‘ধর্মযোদ্ধা’ করার প্রশিক্ষণ(যেমন–একই কায়দায় কচি ছেলেমেয়েদের ব্রেনওয়াশ করে, তাতিয়ে ‘কমরেড’ তৈরি করে কমিউনিস্ট রক্তখেকো মাওবাদীরা)। বেশির ভাগই ছিল আফগান ‘মুজাহিদ’। এদের মাথায় ‘বিশ্বের বিশুদ্ধতম ইসলামি রাষ্ট্র’ তৈরির অলীক কল্পনা ঠুকে দিয়েছিল মৌলানা ওমরের মতন ধর্মান্ধ নেতা।(দ্র. ‘চলিত ইসলামি শব্দকোষ’, মিলন দত্ত, পৃ. ১৭৫) এরপর যন্ত্রের মতন। মাথায় আর কিছু নেই—অবাস্তব অসম্ভব সব ধ্বংসচিন্তা। শুরু হল আত্মঘাতী বাহিনী। জিহাদ বা ধর্মযুদ্ধে নিহত হলে তারা সরাসরি জন্নতপ্রাপ্ত হবে, এবং সেখানে সুন্দরী বাহাত্তরটি হুরি বা যুবতী নারীর সঙ্গসুখ পাবে।
এই যে জিহাদি-কারখানার পঙ্গপালকে ছেড়ে দেয়া হল–এরা শরিয়তের আইনের নামে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ভয়াবহ মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ নামিয়ে এনেছিল আফগানিস্থানের বুকে। সিনেমা, টিভি,গানবাজনা সব বন্ধ। এসব ‘হারাম’। শরিয়তে ছবি ও সংগীত নিষিদ্ধ। কী অদ্ভুত! ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতধারার বিরাট-বিরাট সব দিকপাল–মুসলমান। সেই তানসেনের আমল থেকে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, বড়ে গোলাম আলি, সানাইর জাদুকর ‘ভারতরত্ন’ বিসমিল্লা খাঁ, আলি আকবর খাঁ থেকে আজকের আমজাদ আলির সরোদ, জাকির হুসেনের তবলা, নসরত ফতে আলি খাঁ, রসিদ খাঁর কণ্ঠ বা গোলাম আলির গজল…দীর্ঘ আলোকোজ্জ্বল প্রণম্য সব দেদীপ্যমান মানুষ। সংগীতের মাধুর্য কে বোঝাবে এই ধর্মান্ধ তালিবানদের? ওরা ‘বিশুদ্ধ ইসলাম’ চায়। চুরি করলে হাত কেটে দেয়া কিংবা প্রেম বা সম্মতিসাপেক্ষে যৌনসম্পর্ক করলে মেয়েটিকে আধা পুঁতে পাথর ছুড়ে মারার বিধান এল(কাশ্মীরের পাত্থরবাজদের মনে নেই?)। জনসমক্ষে চাবকানো, এমনকি গুলি করে মেরে লাইটপোস্টে ঝুলিয়ে দেয়া, এসব শরিয়া ‘বিধি’ রূপে চালু করা হল। মেয়েদের স্কুল-কলেজে, বাজার-হাঁটে যাওয়া বন্ধ। পথে বেরোলেই বোরখা বা হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। আরে দাঁড়ান দাঁড়ান, এই তো গেল কয়দিনেই এটা আবার শুরু হয়েছে। টিভিতে দেখেননি, বিশাল দৈত্যকায় বিমান রানওয়েতে ধীরগতিতে থামছে, আর কাতারে-কাতারে লোক দৌড়ুচ্ছে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে। বিমানের ডানায় উঠে গেছে লোক। পেটে ঝুলে আছে। শ-শ আর্ত মানুষ। আকাশ থেকে ডানার ওপর থেকে ক্ষুদে বিন্দুর মতো টুপ করে ঝরছে মানুষ…। কিন্তু ওই ভিড়ে কোনো নারীকে দেখেছেন? না, দেখেননি। নারীদের দেখা যাচ্ছে, কাপড়ের দোকানে লম্বা লাইনে। হিজাব বা বোরখা কেনার ধুম। বাঁচতে তো হবে। এক মার্কিন জিনস পরিহিতা মহিলা সাংবাদিক এক রাতেই হিজাব পরে খবর সংগ্রহে বেরিয়েছেন, টিভিতে দেখলাম। কথা না-মানলে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত। বাজারে গোরু-ছাগলের মতন নারী বিক্রি…। নইলে সব শেষে গণধর্ষণ।
এ এক ভয়াবহ চিত্র। আগের বার টিভিতে কিছু ভয়ংকর ছবি উঠে এসেছিল। কিন্তু এবার আরও মারাত্মক সব ঘটনা এখনই দেখা যাচ্ছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ, মোবাইল হাতে-হাতে। গোটা বিশ্ব দেখছে মানবসভ্যতার চরম এক পরাজয়ের কাহিনি। তাও ২০২১ সালে। ভাবা যায়? যখন মদগর্বী মানুষ মঙ্গলে যান পাঠাচ্ছে, চন্দ্রে জনবসতি স্থাপনের কথা ভাবছে। সেই সময় এই মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে।
আমাদের প্রয়াত প্রিয় প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীজির নামে যে-সংসদভবনটি ভারত কাবুলে তৈরি করে দিয়েছিল, সেটি এখন এই রক্তবীজদের দখলে। এরা শরিয়তের দোহাই দিয়ে টিভি সিনেমা বন্ধ করে, অথচ এদের হাতে-হাতে দামি মোবাইল, আই ফোন। এবং অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র কাঁধে ঝুলিয়ে লাইভ করছিল কয়েকটি আধা-বুড়ো জঙ্গি। কেনরে, উজবুকের দল, মোবাইলেও তো ছবি উঠছে, দেখা যাচ্ছে, সেটা শরিয়তের বিধির বাইরে কেন?!
এরপর বিশুদ্ধ আরবি উচ্চারণে মারণাস্ত্র সামনে রেখে ‘বিসমিল্লাহি রাহমান রহিম’ স্তব। পরমেশ্বরের নামে মানুষমারার অভিযানে পরমেশ্বরকে স্মরণ। ওই যে পুরাতন দিনে ডাকাতের সর্দার ডাকাতিতে যাওয়ার আগে কালীমূর্তির সামনে পাঁচ সিকে দিয়ে বলত–“মাগো, দেখিস, ভালোয়-ভালোয় যেন কাজটা শেষ করে ফিরতে পারি।” হায়রে ধর্ম, হায়রে তার রক্তলোলুপ রূপ !
কীসের ছাতামাথার ধর্ম! আর অতই যদি শান্তির ধর্ম, তাহলে তালিবানেরা কাবুল দখল করার পর লাখো মানুষ সে-দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে, এবং সিংহভাগই ওই ধর্মের, সেটা কেন? কেন নিজেরাই নিজেদের ধর্মরাষ্ট্রে নিরাপদ ভাবতে পারছে না? কেন ‘ফ্যাসিস্ট’ ভারতকে এরা নিরাপদ মনে করছে?
ওই যে একেবারে শুরুতে যাদের কথা বলছিলাম, ওই টুকরে-টুকরে গ্যাং এবং তথাকথিত সুশীল(আসলে দুঃশীল) সমাজ ভারতের সরকারকে কথায়-কথায় ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে। অথচ আফগানিস্থানের বেলায় এরা পাতালে পলাতক। কোথায় গেল আমির খান, নাসরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমি ! এই দেশে এরা নাকি বিপন্ন? তাহলে এরা আফগানিস্থানে গিয়ে একটু শান্তির জল ছেটাতে পারে না? আসলে এরা জাতে মাতাল তালে ঠিক। এই মতলবি শিল্পী-সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীরা এই তো কয়দিন আগে প্যালেস্তাইনের ওপর ইজরায়েলের আক্রমণের সময় হাহাকার করে পথে-পথে কতই-না নাটক করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়া এদের উৎপাতে জেরবার। এখন এরা কই?
আফগানিস্থান তো আমাদের সনাতন আর্য সভ্যতারই অঙ্গ ছিল। ‘গান্ধার’ আর ‘কান্দাহার’ একই শব্দ। আরবি ভাষায় ‘গ’ অক্ষর নেই বলে আরব ভৌগোলিকেরা ‘ক’ ব্যবহার করেছেন। –লিখেছেন সৈয়দ মুজতবা আলী। কান্দাহার আসলে মহাভারতের গান্ধারীর পিতা সুবলের রাজধানী। মুজতবা লিখছেন : “পাঠান মেয়ের দৈর্ঘ্যপ্রস্থ দেখেই বোধ করি মহাভারতকার তাকে শতপুত্রবতী কল্পনা করেছিলেন।”
তিনি আরও লিখেছেন : “অশোক বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য মাধ্যন্তিক নামক শ্রমণকে আফগানিস্থানে পাঠান।…কণিষ্ক বৌদ্ধ হওয়ার বহু পূর্বেই আফগানিস্থান তথাগতের শরণ নিয়েছিল।…আফগানিস্থান ভ্রমণে যাবার সময় একখানা বই সঙ্গে নিয়ে গেলেই যথেষ্ট–সে-বই বাবুরের আত্মজীবনী। …তার সঙ্গে আজকের আফগানিস্থানের বিশেষ তফাৎ নেই।”
আলীসাহেবের কথায় সব ঠিক আছে, কেবল একটা বিসমিল্লায় গলদ রয়েছে। যে-সময়ের কথা তিনি বলেছেন, তখন ওই অঞ্চলকে আফগানিস্থান বলার অবকাশই নেই। কেননা, ইসলাম তো এই সেদিনের–মাত্র চোদ্দশ বছর আগের। আর প্রাচীন গান্ধার রাজ্য সেই মহাভারতের যুগের।
রবীন্দ্রনাথ “কাবুলিওয়ালা”র যতই পিতৃহৃদয় দেখান-না কেন, ওখানকার পিতৃহৃদয় এখন তালিবানহৃদয় হয়ে গেছে। সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক মহিলা জনৈক আফগানকে বিয়ে করে “কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ” নামে একখানা বই ঝেড়ে বেশ ঝড় তুলেছিলেন। ওই সুস্মিতাকে তালিবানেরা গুলি করে মারে। “কাবলিওয়ালা” শব্দটি ভুল। হবে “কাবুলওয়ালা” বা “কাবুলি”। লিখেছেন মুজতবা। তবে জিভ কেটে বলেছেন–ভুল বলা যাবে না, গুরুশাপ ব্রহ্মশাপ। মুজতবার গুরু স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
তালিবানেরা এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বৌদ্ধমূর্তি ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিল। ৫০৭ থেকে ৫৫৪ খিস্টাব্দের মধ্যে তৈরি ওই মূর্তি ১২৫ থেকে ১৭৪ ফুচ উঁচু। শরিয়তে মূর্তি নিষেধ। তালিবানি দোজখের জল্লাদ মোল্লা ওমর ২০০১-এর মার্চ মাসে একটি ফরমান জারি করে ইসলামে মূর্তি হারাম। কাবুল মিউজিয়াম থেকে শুরু করে গোটা আফগানিস্থানে যত মূর্তি আছে, তা ভাঙা হোক। শয়তান ওমর এই মূর্তি ভাঙার যুক্তি হিসেবে কাবাঘরের ৩৬০টি মূর্তি ভাঙার তথ্য উল্লেখ করেছিল।(দ্র. মিলন দত্তের পূর্বোক্ত গ্রন্থ)। কিন্তু মূর্তি যে শুধু ধর্মীয় কোনো প্রতিমা নয়–ভাস্কর্যও হতে পারে, এ-কথা এদের কে বোঝাবে ! এবং বামিয়ানের ওই বিশ্বপ্রসিদ্ধ মূর্তিগুলোর জন্য ওখানে যে বিশ্বপর্যটন ও ঐতিহ্যক্ষেত্র শুরু হয়েছিল, আফগান পর্যটন-আয় যে কোটি কোটিতে পৌঁছুত–এই ধর্মান্ধদের মাথা সেসব ঢোকে না! এরা এমনিতেই অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত। আয়ের উৎস মূলত ড্রাগস ও নেশাদ্রব্য। কোনো নিজস্ব শিল্প-উদ্যোগ নেই। একটি দশ টাকার সাবান বানানোর মুরোদ নেই, অথচ কোটি কোটি ডলারের অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র কেনে। ‘মেড ইন আফগানিস্থান’ লেখা কোনো পণ্য কি কারও চোখে পড়েছে?
বামিয়ানের বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংসের পর সারা পৃথিবীর শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ভাস্কর্যপ্রিয়,ইতিহাস-ঐতিহ্যপ্রিয় মানুষের চোখে জল ছিল সেদিন।
এই তো কিছুদিন আগে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্যকে নিয়ে কী কাণ্ডই-না করল মৌলবাদীরা। বাংলাদেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ কিন্তু এদের বিরুদ্ধে লড়াই করেই চলেছেন।
আমার ধারণা, ভারত বাংলাদেশ সহ গোটা উপমহাদেশে তালিবানের এই উত্থানে উল্লসিত হবে মৌলবাদীরা। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এর প্রকাশ ঘটছে। এই ইন্ডিয়ান ছদ্মবেশী তালিবানদের অন্ধবিশ্বাস : “গাজাওতুল হিন্দ”(সঠিক হলো তো?) আসবে–এবং তালিবানরা খুব শিগগিরি পাকিস্তান ক্রস করে গোটা হিন্দুস্থান দখল করবে–এইরকম বার্তাও ইতস্তত দেখতে পাচ্ছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সে যা-ই হো–আরও কিছু লাদেন ও মোল্লা ওমর যে জন্ম ওখানে নেবে–তা কিন্তু ঠিক।
ভারতের দিকে দখলদারির কুনজর না-দেওয়াই তালিবানদের পক্ষে মঙ্গল। কেননা–এখন ভারতে মিনমিনে প্রধানমন্ত্রী নেই। আছেন এমন এক অসমসাহসী যোগীপুরুষ–যিনি তালিবানদের বাড়ি- বাড়ি ঢুকে তছনছ করে দিয়ে আসার ক্ষমতা রাখেন। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভয়াবহ আক্রমণের কথা ভেবে এখনও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাপড়চোপড় নষ্ট হয়–রাতে দুঃস্বপ্ন দেখেন…! (ইউটিউবে পাক মন্ত্রীর ভয়ার্ত ভাষণ তার প্রমাণ)। আর তালিবান তো নস্যি।
•••
(দৈনিক যুগশঙ্খ, ১৯-৮-২১)
প্রশান্ত চক্রবর্তী