সাফল্য পেয়েছে ইসরো, চাঁদের মাটিতে জলের খোঁজ দিতে পারবে চন্দ্রযান-২

আশা ছিল কিন্তু তা হতাশায় পরিণত হয়নি। চাঁদের মাটিতে নামার আগে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিক্রমের। কিন্তু তা বলে যে চন্দ্রযান-২ এর উৎক্ষেপণ অসফল তা বলা যাবে না। কারণ চন্দ্রযান-২ এর দুটি অংশ ছিল একটি বিক্রম ও অন্যটি অরবাইটার।

বিক্রমের চাঁদের মাটিতে নামার কথা ছিল। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে তা অসফল হয়েছে। চন্দ্রযান-এর অপর অংশ অরবাইটারের চাঁদের কক্ষপথে ঘোরার কথা। সেই মতো এখনও চাঁদের কক্ষপথে ঘুরছে। ইসরো সূত্রে খবর, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় আরও অন্তত এক বছর ঘুরতে থাকবে অরবাইটার।

 অরবাইটারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পে-লোড পাঠিয়েছিল ইসরো। তার মধ্যে ছিল থ্রিডি ম্যাপিং স্টিরিয় ক্যামেরা, হাই রেজোলিউশন টেরেন ম্যাপিং ক্যামেরা, ইনফ্রারেড স্ক্যানিং ক্যামেরা, ডুয়াল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার, সফট এক্সরে স্পেকট্রোমিটারের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যা প্রতি মুহূর্তে কাজে লাগবে। এই যন্ত্রাংশ গুলির মূল কাজ হল দক্ষিণ মেরুতে জলের খোঁজ করা এবং চাঁদের খনিজের একটি মানচিত্র তৈরি করা। এছাড়া সূর্য থেকে আসা এক্স রশ্মি সম্পর্কে তথ্য বের করা।

সর্বোপরি বলা যায়, চন্দ্রযান-২ এর সাফল্য পাবেন বিজ্ঞানীরা। এর আগে গত ৬ দশকে অন্তত ১০৯ টি চন্দ্রাভিযান হয়েছে। সফল হয়েছে ৬১টি। অর্থাৎ সাফল্যের হার ৬০ শতাংশ। প্রথম অভিযানে আমেরিকা, ইজরায়েলের মতো দেশও ব্যর্থ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.