পেট্রো ডলারের গর্বে গর্বিত সৌদি সাম্রাজ্যের সূর্য্য কি অস্তমিত? ইজরায়েলের চাপে পড়ে এবার হামাস জঙ্গিদের জেলে পাঠালো জঙ্গি মদতদাতা সৌদি আরব। ইসলামী ঐক্যে পরিষ্কার ফাটল দেখা যাচ্ছে।
“মানি পাওয়ার ইস দ্য রিয়েল পাওয়ার ” , প্রচলিত এই প্রবাদ আবারো প্রমাণিত হলো। ইহুদি রাষ্ট্রর চাপে পড়ে ইসলামের জন্মস্থান রাষ্ট্র সৌদি আরব(Saudi Arab) জেলে ঢোকানো শুরু করলো হামাস (Hamas) জঙ্গিদের।
তার মানে কি এই নয় যে সৌদি আরবের টাকার জোর নেই? তা অবশ্যই আছে, কারণ আছে তেলের টাকা। কিন্তু তেলের ভান্ডার ক্রমশ এবং দ্রুত শেষ হচ্ছে , তৈরী হচ্ছে সর্ব ক্ষেত্রে আল্ট্রারনেটিভ এনার্জি নির্ভর (Alternative energy) জ্বালানির সম্ভাবনা।
এই ব্যাপারে পৃথিবী তিনটি দেশের অগ্রণী ভূমিকা চোখে পড়ার মতো এবং এই দেশ গুলি হচ্ছে , জার্মানি(Germany) , অস্ট্রিয়া(Austria) ও ইজরায়েল (Israel)।
সূত্রের খবর , আরব দুনিয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ব্যবসা বাণিজ্য ক্রমশই দখলে চলে যাচ্ছে জার্মানি(Germany) , অস্ট্রিয়া(Austria) , ইজরায়েল (Israel) , আমেরিকা (America), ইংল্যান্ড(England) এর হাতে।
ফলে ক্রমেই আর্থিক ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে সৌদি আরব নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে পশ্চিমি দেশগুলি ও এমনকি ইজরায়েলের এর উপরও, আর এইখানেই খেলে দিচ্ছে ওই ইহুদি দেশ।
ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য শোনালেও , এটাই সত্যিই যে সৌদি আরব সারা বিশ্বে জঙ্গিদের সবচেয়ে বড়ো মদতদাতা ও অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। সেই সৌদি আরবই এবার ৫৯ জন হামাস জঙ্গিদের ২১ বছরের কারাদণ্ড দিলো সৌদি আরব(Saudi Arab)।
এই হামাস জঙ্গিরাই বা কারা ?
হামাস হলো কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন যারা ইজরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং যারা প্রচার করে যে ইহুদি রাষ্ট্র ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু।
এদিকে সৌদি আরব এর এই সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত, বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ বিভিন্ন মুসলিমদেশ । ইতিমধ্যেই ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছে তুরস্ক, ইরাক, ইরান এবং পাকিস্তান ।