ইসলাম ও খ্রিষ্টান ধর্মান্তকরণ মাফিয়া সমানতালে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভারতে, সরকারের নাকের ডগায়

ইসলাম ও খ্রিষ্টান ধর্মান্তকরণ মাফিয়া সমানতালে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভারতে, সরকারের নাকের ডগায় ।

একটি নয় , দুটি নয়, ১০০০ শিশুদের খ্রীষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগ উঠলো বেআইনি ভাবে গড়ে উঠা চার্চ পরিচালিত অনাথ আশ্রমের বিরুদ্ধে তাও আবার বিজেপি শাসিত কর্নাটকে।
একই সাথে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
কি হয়েছে আদতে?
ঘটনাটি ব্যাঙ্গালুরুর পাশ্ববর্তী জায়গা চিকাবললামদূরের একটি চার্চকে ঘিরে। চার্চটির নাম সালম বিবলিকাল ব্যাপটিস্ট চার্চ যার একটি নিজস্ব অনাথ আশ্রম আছে , কিন্তু সেটা গড়ে উঠে সম্পুর্ন্য বেআইনিভাবে কারণ তার কোনো রেজিস্ট্রেশনই নেই।

এই চার্চ তথা অনাথ আশ্রমের মালিক রমেশ কুমার ও তার স্ত্রী ক্রিস্টিনা কুমার।
১৬ বছর বয়েসেই আমেরিকায় খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন রমেশ সেখানে চার্চের সংস্পর্শে আসার পর।
এর পর তিনি চলে আসেন ভারতে , সঙ্গে আসেন তার স্ত্রী খ্রিস্টিনা এবং তখন থেকেই স্বামী, স্ত্রী মিলে প্ল্যান করে কি করে ধর্মান্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
প্ল্যান অনুযায়ী সালাম বিবলিকাল ব্যাপটিস্ট চার্চটি অধিগ্রহণ করা হয় ও এরই সাথে তৈরী হয় একটি অনাথাশ্রম যেখানে পড়াশুনার সাথে সাথে চলে মগজ ধোলাই এর কাজ।

সূত্রের গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ হানা দিয়ে চার্চ ও অনাথাশ্রমে এবং ৭ থেকে ১৬ বছর বয়েসী ১৪ জন ছেলে মেয়েকে উদ্ধার করে যাদের বেআইনি ভাবে আটক করে খ্রীষ্টান ধর্মে দীক্ষা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ আরো জানতে পারে যে অন্তত ১০০০ শিশুকে ইতিমধ্যেই খ্রীষ্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে এই চার্চের মাধ্যমে।
অনুসন্ধান করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে এই চার্চের জন্য সিংহ ভাগ অর্থই আসতো আমেরিকার ওয়ার্ল্ডওয়াইড নিউ টেস্টামেন্ট ব্যাপটিস্ট মিশন সংস্থা থেকে।
এই বিদেশ থেকে ভারতে অর্থ আসার ব্যাপারেও যথেষ্ট অনিয়ম পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ চার্চ তথা অনাথ আশ্রমের একাউন্টস ঘেঁটে জানতে পেরেছে যে কয়েক কোটি টাকা ঢুকেছে আমেরিকা থেকে বছরের পর বছর , সবার নজর এড়িয়ে , অতি সুকৌশলে।
বিভিন্ন বছরে অর্থ আসার একটা ফিরিস্তি দেয়া যাক ।
২০০৬ -০৭ … ৩০ লক্ষ
২০০৭ -০৮ … ২৪ লক্ষ
২০০৮ -০৯ … ২১ লক্ষ
২০০৯ -১০ … ২৬ লক্ষ
২০১০ -১১ … ১৭ লক্ষ
২০১ ১ -১ ২ … ১ ৫ লক্ষ
২০১ ২ -১ ৩ … ২৭ লক্ষ
২০১৩ -১৪ … ৩৩ লক্ষ
২০১৪ -১৫ … ২৬ লক্ষ
২০১৫ -১৬ … ৩৩ লক্ষ
২০১৬ -১ ৭ … ৩০ লক্ষ
২০১৭ -১৮ … ২৮ লক্ষ
২০১৮ -১৯ … ৩৫ লক্ষ
২০১৯ -২০ … ৩০ লক্ষ

ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে বছরের পর বছরের এই ধরণের লেনদেনের মাধ্যমে চার্চ হয়ে উঠেছিল একটি কোটিপতি প্রতিষ্ঠান যার একটাই উদ্দেশ ছিল বা আছে , সাধারণ মানুষকে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করিয়ে খ্রীষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করা।

আপাতত রমেশ ও ক্রিস্টিনা কুমারকে আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

তবে এরই সাথে প্রশ্ন উঠেছে কর্ণাটক সরকারের ভূমিকা নিয়েও। বেআইনি চার্চ বানিয়ে ও এরই সাথে অনাথাশ্রম তৈরী করে কি ভাবে এতদিন এই দম্পতি ধর্মান্তকরণের ব্যাবসা চালিয়ে গেলো, তাও আবার বিজেপি শাসিত রাজ্যে , এই নিয়েও প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.