দিল্লির হাঙ্গামায় আইএসআই স্লিপার সেল, আইসিসের উপস্থিতি, আর্থিক সহযোগিতা পিএফআই এর?

দিল্লির (Delhi) দাঙ্গাকে গণহত্যা বলছেন বিরোধীরা। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতে এটি একটি “সুপরিকল্পিত গণহত্যা” এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যের মত বামপন্থীর মতে “বেছে বেছে আক্রমণ করা হয়েছিল মুসলিমদের”। আর এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা বলেছে দিল্লির (Delhi) পুলিশও সাহায্য করেছিল হিন্দুত্ববাদী-হিংসায়। এত সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিল্লির বুকে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির একটি নির্মোহ তথ্যপূর্ণ প্রতিবেদন হয়ত দিতে পারে পরিস্থিতির স্পষ্টতর চিত্র।

দিল্লির (Delhi) ঘটনা নিঃসন্দেহে সুপরিকল্পিত। দিল্লি (Delhi) কর্পোরেশনে আম আদমি পার্টির পার্ষদ তাহির হুসেনের বাড়ির ছাদে যে দাঙ্গা পরিকাঠামো আবিষ্কৃত হয়েছে গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি দুপুরে, বাক্স বাক্স পাথর, অ্যাসিডের প্যাকেট, পেট্রলবোমা ও সেগুলি ছোঁড়ার জন্য বড় গুলতি ইত্যাদি যে পরিমাণে পাওয়া গিয়েছে, তাতে এই ঘটনার সুদীর্ঘ পূর্ব পরিকল্পনা সম্বন্ধে সন্দেহের অবকাশ থাকে না। অত পাথর হঠাৎ ও দ্রুত এক জায়গায় জমা করা অসম্ভব।

দিল্লির (Delhi) ঘটনার ইসলামিক প্রকৃতি সম্বন্ধে করোবরেটিভ এভিডেন্সেস বা পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণাদি অনেক। এই হিংসাত্মক আন্দোলনে জেএনইউ এর পাশাপাশি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটি ও আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির অবদান গোড়া থেকেই অত্যন্ত বেশী। দিল্লির (Delhi) রাজপথে দাঁড়িয়ে জামিয়ার ছাত্ররা শার্জীল ইমাম, তাহির মদনি আর কাফিল খানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে। তা নাহলে তারা কাউকে ছাড়বে না, সে হুমকিও প্রকাশ্যে দিয়েছে। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি জেএনইউ (JNU) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী উমর খালিদ প্রকাশ্য জনসভা থেকে আহ্বান জানিয়েছিলেন যে দিল্লিতে ইউ এস প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ প্রদর্শন করতে হবে যাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বুঝতে পারেন যে ভারত গান্ধীর পথ থেকে সরে গিয়েছে। উমর খালিদের এ হেন আহ্বানের পরে দিল্লির নারকীয় তান্ডব যখন ২৪শে ডিসেম্বর ইউ এস প্রেসিডেন্টের ভারতে আসার দিনেই শুরু হয়, তখন এই অনুমান অযৌক্তিক নয় যে উমর খালিদের ইচ্ছা বা নির্দেশ অনুসারেই তা হয়েছে। দিল্লিতে (Delhi) যা, যেভাবে, যে সময়ে এবং যে সব জায়গায় ঘটেছে, তাতে প্রতীত হয় যে এইসব ঘটনা ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে রাডিকাল শরীয়তী ইসলামী লবির একটি সম্মিলিত ষড়যন্ত্র।

যে খবর কোনো সংবাদমাধ্যম এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করে নি তা হল এই যে ২৪ তারিখ সোমবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির স্কুলগুলির কিছু বাচ্চার হাতে বিলি করা হয়েছিল উর্দুতে লেখা চিরকুট, যাতে তাদেরকে বলা হয়েছিল যে সেইদিন তাদের স্কুল ছুটি হয়ে যাবে বেলা ১টার বদলে সকাল ১১টায়, তারপর যেন তারা বাড়ি চলে যায়। অন্য বাচ্চাদের এ বিষয়ে জানতে না দেওয়ার উদ্দেশ্যেই চিরকুট লেখা হয়েছিল উর্দুতে। এইভাবে কিছু বাচ্চাকে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্কুল থেকে বের করে দিয়ে স্কুল বিল্ডিং গুলিকে দখল করে তাণ্ডব শুরু করে এক শ্রেণীর মানুষ। স্কুলের মধ্যে থাকা বাচ্চাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বহুক্ষণ ব্যবস্থা নিতে পারে নি পুলিশ। ঐসময়ের তাণ্ডবে যত মানুষ মারা যান, তাদের লাশ গুলি ফেলে দেওয়া হয় নালার মধ্যে এবং সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত উত্তর-পূর্ব দিল্লির নানা জায়গায়। বহুক্ষণ তাণ্ডব চলার পরে দিল্লির (Delhi) জাঠ, চৌহানরা কোণঠাসা ও মরিয়া হয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে। বস্তুতঃ, গোকুলপুরীর এসিপি অফিসের হেড কনস্টেবল রতনলাল চান্দ বাগে মাথায় পাথরের আঘাতে মারা যাওয়ার পরেই লড়াই দ্বিপাক্ষিক ও ভয়ানক হয়ে ওঠে। এই মারণাত্মক হিংসা যত মানুষের প্রাণ নিয়েছিল, সেই মৃতদেহগুলিই ধীরে ধীরে ক্রমশঃ উদ্ধার হয়েছে, যাকে বিরোধীবর্গ গণহত্যা বলে বর্ণনা করছেন।

প্রশ্ন উঠেছে যে, দাঙ্গা ও গণহত্যা যদি হিন্দুত্ববাদীরা করে থাকেন এবং বামপন্থী আইনজ্ঞ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যের কথা অনুযায়ী বেছে বেছে যদি মুসলিমদেরই আক্রমণ করা হয়ে থাকে তবে তারা ৭০% মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় এসে আক্রমণ শানালেন কেন? অন্যান্য এলাকায় যেখানে মুসলিমরা সংখ্যায় কম এবং ‘সফ্ট টার্গেট‘, সেখানে এমন ঘটনা ঘটল না কেন। উপরন্তু গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি দিল্লির (Delhi) গুরু তেগ বাহাদুর হসপিটাল থেকে প্রকাশিত হয়েছিল দাঙ্গায় আহত ও নিহতদের একটি তালিকা। তাতে ৮ জন অমুসলমান ও ৯ জন মুসলমানের নাম ছিল। উত্তর-পূর্ব দিল্লির অধিবাসীদের মধ্যে ৩০% অমুসলমান আর ৭০% মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও তেগ বাহাদুর হাসপাতালের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী দেখা গিয়েছিল যে দাঙ্গা-আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে ৪৭% অমুসলমান ও ৫৩% মুসলমান। অর্থাৎ আনুপাতিক হারে ঐ অঞ্চলের অমুসলমানরা আক্রান্ত হয়েছিলেন মুসলমানদের চেয়ে বেশি। কিন্তু ২৬ তারিখের পর অন্য কোনো হাসপাতাল বোধ করি এমন তালিকা আর বের করে নি বা করলেও তা পাবলিক ডোমেইনে আনা হয় নি। সেটি উচিত কাজ হয়েছে। দাঙ্গায় মৃত মানুষের ধর্ম দেখার মত ন্যক্কারজনক প্রবৃত্তি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যমগুলির মত সকলেরই যে হবে, এমন নয়।

এ বিষয়ে অবশ্য-উল্লেখ্য যে ইন্টেলিজেন্সের তথ্য অনুযায়ী দিল্লির (Delhi) হিংসাত্মক ঘটনায় আইসিস মডিউলের জঙ্গী কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়েছে।‌ বড় বড় পাথর, পেট্রলবোমা ও লঙ্কার গুঁড়ো মিশ্রিত অ্যাসিড ব্যবহৃত হয়েছে দাঙ্গা ছড়াতে ও আগুন লাগাতে। দখল করা স্কুলবিল্ডিং ও বাড়ির ছাদ থেকে বড় বড় গুলতি দিয়ে ছোঁড়া হয়েছে এইসব অস্ত্র ও উপকরণ। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে ২০১৯ এর এপ্রিল মাসে দিল্লির জাফরাবাদ থেকে মহম্মদ ফৈজ নামে একজন আইসিস সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তারপর এ বছর জানুয়ারিতে ওয়াজিরাবাদ থেকে গ্রেফতার হয় আরও তিন জন আইএস সন্দেহভাজন। ২০২০’র ১লা জানুয়ারী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল যে এ দেশে সক্রিয় রয়েছে প্রায় দশহাজার আইসিস জঙ্গী। ২০১৮’র ডিসেম্বরে এনআইএ পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদ ও সিলমপুরে তল্লাশি চালিয়ে পেয়েছিল বোমা তৈরির প্রচুর সরঞ্জামসহ আরও নানা অস্ত্র শস্ত্র এবং দিল্লি (Delhi) ও উত্তরপ্রদেশ মিলিয়ে গ্রেফতার করেছিল মোট ১০ জনকে যারা নতুন আইসিস মডিউল হরকত-উল-হার্ব-এ-ইসলাম অনুসারে এদেশে সক্রিয় ছিল। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, এই বারও দিল্লিতে হিংসাত্মক বিষ্ফোরণ প্রথম হয় ১৭ই ডিসেম্বর সিলমপুরেই এবং তার সঙ্গে দিল্লি (Delhi) পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পায়। স্বভাবতঃই প্রশ্ন ওঠে, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী এবং সিলমপুর, জাফরাবাদ, ওয়াজিরাবাদের আইসিস মডিউলের জঙ্গীদের মধ্যে কোনো সাধারণ যোগসূত্র রয়েছে কিনা। আইসিস মডিউলের জঙ্গীরা বাংলাদেশ থেকেই এদেশে প্রবেশ করছে কি না, সে প্রশ্নও উঠছে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রবেশকারী-প্রীতির মূল্য ভারতবর্ষের রাজধানীর মানুষকে এবার দিতে হল এবং ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকেও দিতে হবে কি না, উঠছে সেসব প্রশ্নও। এ বিষয়ে উল্লেখ্য যে ২০১৯ এর ২৭শে এপ্রিল সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে আইসিসের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেখা গিয়েছিল “শীঘ্রই আসছি, ইনশাআল্লাহ” লিখিত একটি বাংলা পোস্টার, যাতে ছিল আল-মুর্সালাত নামে একটি সংস্থার লোগো। বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ করেছিলেন যে ঐ পোস্টার হয়ত ছিল আইসিসের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ বা সক্রিয়তা বৃদ্ধির সদর্প ঘোষণা। বাংলাদেশে আইসিস ছিল আগে থেকেই সক্রিয়। অতএব উক্ত পোস্টার পশ্চিমবঙ্গে তাদের সক্রিয়তা বৃদ্ধির ইঙ্গিত হওয়া অস্বাভাবিক ছিল না। উপরন্তু ২৪শে ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে (Delhi) নারকীয় তান্ডব শুরু হওয়ার ঠিক আগেই উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ইত্যাদি নানা জায়গা থেকে প্রচুর সংখ্যক বহিরাগত মুসলিম দিল্লিতে (Delhi) পৌঁছেছিলেন। তাঁদের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য দিল্লি পুলিশের কাছে রয়েছে। এত বহিরাগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ঐদিনই দিল্লিতে কেন এসেছিলেন, খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

এ প্রসঙ্গে আরও উল্লেখ্য যে গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় দিল্লির ঘটনার পিছনে আইএসআই এর স্লিপার সেলের হাত থাকার সংবাদ। উপরন্তু ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অফিসার অঙ্কিত শর্মার মৃত্যুর পাশবিক ধরণ, তাঁকে হত্যার অভিযোগে ধৃত তাহির হুসেনের বাংলাদেশী সংযোগের সংবাদ এবং সেই সঙ্গে দিল্লির (Delhi) ঘটনায় আইসিস মডিউলের উপস্থিতির চিহ্নিতকরণও দিল্লির ঘটনা ইসলামিক হিংসার ঘটনা হওয়ার দিকেই নির্দেশ করে। এ প্রসঙ্গে এ-ও উল্লেখ্য যে ৪০০ বার কুপিয়ে প্রতি আঘাতের জায়গায় অ্যাসিড ঢেলে, চোখ খুবলে, চোখের কোটরে অ্যাসিড ঢেলে অঙ্কিত শর্মাকে হত্যা করার নারকীয় পদ্ধতির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে প্রদীপ মণ্ডলদের চোখ খুবলে হত্যাপদ্ধতির সাদৃশ্য পাওয়া গিয়েছে। প্রদীপ মণ্ডলদের হত্যার পিছনে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান এর নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের হাত ছিল বলে সন্দেহ করা হয়। দিল্লির (Delhi) ঘটনার পর তাহির হুসেনের সঙ্গেও বাংলাদেশী ঐ রোহিঙ্গাদেরই সংযোগ সূত্র রয়েছে কিনা এবং তারাই আইসিস মডিউলের হিংসার রূপায়ক কিনা এবং একই সঙ্গে তারা পাকিস্তানের আইএসআই এর স্লিপার সেল হিসেবেও ভারতের মাটিতে নিরন্তর কাজ করে চলেছে কি না, সে বিষয়ে জল্পনা চলছে।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ না করলে নয় যে ব্যাঙ্গালোরে সিএএ (CAA) -বিরোধী প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” স্লোগান দিয়ে কর্ণাটক পুলিশের হাতে ধৃত তরুণী অমূল্যা লিয়োনে বিবৃতি দিয়েছিলেন যে তাঁকে যেমন করতে বলা হয়েছিল, তিনি তেমন করেছেন। প্রতিবাদ মঞ্চে তাঁর যাতায়াত এবং অন্যান্য খরচ বাবদ সমস্ত আর্থিক দায় যে প্রতিবাদের আহ্বায়ক ও সংগঠকরা বহন করেছিলেন, তা-ও জানিয়েছিলেন অমূল্যা। অল্পবয়স্কা তরুণীর এমত বিবৃতি ইঙ্গিত করে যে সিএএ (CAA) -বিরোধী এইসব প্রতিবাদ স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং সংগঠিত ও সংঘটিত। অমূল্যা লিয়োনের অবিমৃশ্যকারী কার্যকলাপের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করেছিল কর্ণাটক পুলিশ। আদালত সেই মামলা খারিজ করে মুক্তি দিয়েছে তরুণী অমূল্যাকে। তবে কারা এইসব প্রতিবাদ মঞ্চের আর্থিক দায় নিয়ে চলেছে সে আন্দাজ পাওয়া গিয়েছিল ইণ্ডিয়া টিভিতে দেশের আইনমন্ত্রী শ্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের (Rabishankar Prasad) সঙ্গে শাহীনবাগ আন্দোলনের কিছু প্রতিনিধিবৃন্দ ও অন্যান্য বিশিষ্ট মুসলিম ব্যক্তিবর্গের আলোচনা সভায়। সেই সভামঞ্চে উপস্থিত একজন মুসলিম মহিলা বলেছিলেন শাহীনবাগ আন্দোলন যেখানে হচ্ছে, সেখানেই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই (PFI) এর অফিস। এই পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে সংগঠিত ধর্মান্তরকরণের চক্র এবং অন্যান্য নানা আগ্রাসী সামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ অনেক আগেই উঠেছে। কেরালায় এরা অতি সক্রিয়। অর্থের জোগানেও ঘাটতি নেই। বর্তমানে সক্রিয় পশ্চিমবঙ্গে ও উত্তর-পূর্ব ভারতেও। আসাম এনআরসিতে অধিক সংখ্যক সংখ্যালঘু মানুষের নাম নাগরিকপঞ্জীর অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বদরুদ্দীন আজমল যে পিএফআই’র সাহায্য নিয়েছিলেন, তা সুবিদিত সত্য। তাই পিএফআই এইসব সিএএ (CAA) -বিরোধী বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের আর্থিক দায়ভারের অন্যতম বহনকারী, এমন সন্দেহ অমূলক নয়।

অমূল্যা লিয়োনের ঘটনা থেকে সতর্ক হতে হবে যে সমাজের তরুণ প্রজন্মের সামনে আইসিস, পিএফআই (PFI) এর মত বিপদ সমুপস্থিত। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বিলাসব্যসন ও আরামদায়ক জীবনযাত্রার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে ভারতবর্ষের নবপ্রজন্মকে মানসিক ও চিন্তনগতভাবে দখল করে নিজেদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজে ব্যবহার করতে সক্রিয় তারা। এই প্রজন্মকে ও দেশের প্রতিটি মানুষকে সে বিষয়ে যথাযথভাবে সতর্ক করা আশু কর্তব্য।‌

দেবযানী ভট্টাচার্য্য (Debjani Bhattacharyya)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.