আবার কি উগ্রপন্থা ফিরে আসছে পার্বত্য চট্টগ্রামে? সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক এক বহু চর্চিত খুনের ঘটনা হয়তো তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে

আবার কি উগ্রপন্থা ফিরে আসছে পার্বত্য চট্টগ্রামে? সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক এক বহু চর্চিত খুনের ঘটনা হয়তো তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মূলত বৌদ্ধধর্মালম্বী চাকমা ও মারমা জনগোষ্ঠীর বসবাস চট্টগ্রাম এক সময় বাংলাদেশ সরকারের সন্ত্রাসে বিক্ষুব্ধ জনজাতীদের দ্বারা তৈরী শান্তি বাহিনীর প্রাধান্য ছিল কিন্তু পরবর্তীকালে ওই সংস্থার সদস্যরা আত্মসমর্পণ করে।
বিগত বছরগুলোতে জনজাতীর লোকদের সারল্যের সুযোগ নিয়ে চলছে বাংলাদেশি মূল ভূখণ্ডের লোকদের তাদের উপর অত্যাচার, বিশেষ করে জঙ্গি সংগঠন দাওয়াতুল ইসলামের মাধ্যমে জোর করে ধৰ্মান্তকরণ। গত ১৫ জুলাই পুলিশের হাতে ধরা পরে মাহমুদুল হাসান গুনবি নামে আনসার-আল-ইসলামের কুখ্যাত জঙ্গি নেতা যে ছিল আবার ওই অঞ্চলে ধর্মান্তকরণের মূল পান্ডা।
উলেখ্য গত জুন ১৮ বান্দরবান জেলায় ওমর ফারুক ত্রিপুরা নাম ত্রিপুরী উপজাতি সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি যে দাওয়াতুল ইসলামের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে চালাচ্ছিল উপজাতিদের মধ্যে ধর্মান্তকরণের খেলা ।
খবরে প্রকাশ, আনসার-আল-আসলাম আরব ও আই এস আই ফান্ডের মাধ্যমে ফারুককে ধরে গরিব উপজাতিদের ধমকে চমকে মুসলিম বানাতো কিন্তু তাতেই খেপে যায় জানজাতীয়রা ।
ফলস্বরূপ গত জুন ১৮ মসজিদের সামনেই ঝাঁঝরা করে দেয়া হয় ওমরকে।
এই ঘটনায় টনক নড়ে হেফাজতে ইসলামের এবং ঘটনার পরেই ওই জঙ্গি সংগঠন ফারুককে শহীদ বলে ঘোষণা করে।

রোয়ানছড়ি পুলিশ স্টেশনের অফিসার-ইন-চার্জ তৌহিদ কবির বলেছেন এর পেছনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জানা সংহতি সমিতি (PCJSS) এর হাত থাকে পারে।
পি সি যে এস এস হলো একটি স্বাধীনতাকামী সংগঠন যারা মুসলিমদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব ও শাস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে স্বাধীন করতে চায়।

মুসলমানদের দ্বারা জনসংখ্যার মানচিত্র পরিবর্তনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিরোধে এই সংগঠন অনেক দিন ধরে সামিল।

বাংলাদেশী সাংবাদিক নাজমুল আহসান যিনি চট্টগ্রামে বড়ো হয়েছেন তিনি বলেন PCJSS নেতা সন্তু লারমা অনেক দিন ধরে জানজাতিদের জোর করে মুসলমানিকরণের বিরুদ্ধে গলা ফাটাচ্ছেন।
লারমা বহুদিন ধরে মুসলিম যুবকদের লাভ জেহাদের মাধ্যমে বৌদ্ধ ও হিন্দু মেয়েদের ইসলামে ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে বলছেন।
আহসান আরো বলেন খ্রিস্টান ধর্মের প্রচারে জনজাতীয় লোকদের আপত্তি থাকলেও, তাঁদের মূল আপত্তি ইসলাম নিয়ে।
মৃত ফারুক, ৫০, ত্রিপুরী ছিল মূলত এবং তার আগের নাম ছিল পূর্ণেন্দু ত্রিপুরা। সাধারণত ৯০ শতাংশের উপর ওই জনগোষ্ঠীর লোকেরা হিন্দু।

স্থানীয় খবরের পোর্টাল পার্বত্য নিউজের খবরে প্রকাশ ফারুক তাবলীগ-এ -জামাতের এক অনুষ্ঠানে মগজ ধোলাইয়ের পর ইসলামে ধর্মান্তরিত হয় ও তার গ্রামের মোট ৩৮ টি পরিবারের মধ্যে ৫ টি পরিবারকে ‘দাওয়াহ’ এর মাধ্যমে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.