দিল্লি হিংসায় কি বাংলাদেশ যোগ, ঘটনার আগে পরে অবৈধ বাংলাদেশী দের কার্য্যকলাপ খতিয়ে দেখছে পুলিশ

দিল্লির (Delhi) হিংসার পিছনে বাংলাদেশী (Bangladeshi) যোগ আছে কিনা তা তদন্তে খতিয়ে দেখছে পুলিশদিল্লি (Delhi) হিংসায় অবৈধ বাংলাদেশী নাগরিকদের জড়িত থাকার আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল । তদন্তে এই বিশেষ দিকটি মাথায় রেখে পুলিশ পূর্ব, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দিল্লি (Delhi) -ভিত্তিক ইউপি অঞ্চলের লোনি, গাজিয়াবাদ ও নয়ডার অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত বাংলাদেশী (Bangladeshi) নাগরিকদের প্রোফাইল চেক করছে ।

যে অঞ্চলগুলিতে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, নির্দিষ্ট দিনের আগে পরে কাদের উপস্থিতি রয়েছে তা ঘনিষ্ঠভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। হিংসার পরে হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদেরও নিবিড়ভাবে তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে। স্থানীয়রা হিংসার সময় প্রচুর ভিডিও রেকর্ড করেছে। দিল্লি (Delhi) পুলিশ এই ভিডিওগুলি থেকে সন্দেহভাজন অপরাধীদেরও সন্ধান করছে

◾সন্দেহ কেন?

দিল্লি (Delhi) পুলিশের এক আধিকারিকের মতে, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজধানীর কয়েক ডজন জায়গায় বিক্ষোভ চলছিলো। শাহিনবাগই এই বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। জামিয়া, জামে মসজিদ থেকে তুঘলাকাবাদ পর্যন্ত অনেক জায়গায় বিক্ষোভ চলছিল। তবে পুরো রাজধানীতে কোথাও বিক্ষোভগুলি হিংসাত্মক হয়ে উঠেনি

তবে এমন কী হয়েছিল যে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে যাতে হিংসা ব্যাপক হারে ছড়ায় , পুলিশ সেই দিকটি নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখছে। এছাড়াও, নাগরিকত্ব আইন যদি কারও উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে তবে তা অবৈধবাংলাদেশী নাগরিকদের উপরেই।

এমন পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে যে এই নির্দিষ্ট শ্রেণীভুক্ত মানুষরা সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ থেকে নিজেদের বিরত রাখেনি এবং হিংস্র হয়ে উঠেছে। এই দৃষ্টিভঙ্গীর কথা মাথায় রেখে পুলিশ একজন বাংলাদেশি নাগরিককে সনাক্তও করছে

◾এই অঞ্চলটি বাংলাদেশি নাগরিকদের দুর্গ

পূর্ব, উত্তর-পূর্ব দিল্লির অঞ্চলগুলি বাইরে থেকে আসা অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এর কারণ হ’ল আজও এখানে দুই বা তিন হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে থাকার জায়গা পাওয়া যায়।

ইউপি-বিহার থেকে আগত শ্রমিকদের পাশাপাশি অবৈধ বাংলাদেশী নাগরিকরাও এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় বাস করেন। মহিলারা বেশিরভাগ গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন ও পুরুষরা দৈনিক মজুরি, স্ক্র্যাপ, সেলাই বা সূচিকর্ম করেন।

দিল্লি এবং এনসিআর (NCR) অঞ্চলে সময়ে সময়ে সংঘটিত অপরাধে বাংলাদেশি অপরাধীরা প্রধান ভূমিকা পালন করে। রাজধানীতে ছোট ছোট অপরাধের পাশাপাশি হত্যা ডাকাতির মতো গুরুতর মামলায়ও তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দেখা গেছে।

অনেক সময় তারা অপরাধ করে ফের বাংলাদেশে পালিয়ে যায়, যার ফলে পুলিশকে তাদের পাকড়াও করতে সবিশেষ বেগ পেতে হয়। তবে এর পরেও বিপুল সংখ্যক অপরাধী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং তাদের বিরুদ্ধে বহু মামলাও রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সুব্রমনিয়াম স্বামী (Subramaniam Swami) একটি টুইট করে আপ নেতা তাহিরের বাংলাদেশ যোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। টুইট করে সরকারের কাছে এই দৃষ্টিকোণে তদন্তের দাবীও জানান তিনি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.