সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE) আশ্বাস দিয়েছে যে, ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর তাঁরা ভারতে কোনরকম ভাবেই তেলের অভাব হতে দেবে না। UAE এর রাজদূত আহমেদ আল বন্না সোমবার এই তথ্য দেন। আর UAE এর এই আশ্বাসের ফলে একদিকে যেমন ভারতে তেলের অভাব হবে না, তেমনই পেট্রোল ডিজেলের দামও বাড়বে না।
হরমুজ স্ট্রেইটসের ঘটনা সম্পর্কে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তেলের দাম বাড়ছে এবং তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওপেক গ্রুপের প্রধান দেশ সৌদি আরবের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে বলা হয়েছে।
বন্না বলেন, ‘UAE আশ্বস্ত করেছে যে তাঁরা ইরানের উপরে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার জন্য কোন প্রকারেই ভারতে তেলের অভাব বুঝতে দেবেনা। এরকম আগেও করা হয়েছে, আর এবারও আমরা ভারত সরকারকে আশ্বস্ত করছি।
আমেরিকার দ্বারা করা ছাড় সমাপ্ত হওয়ার পর ভারত এই বছরের মে মাসে ইরান থেকে তেল নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও আল বন্না বলেন, ভারত আর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে বিমানের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বৈঠক হবে। দুবাই চেম্বার অফ কমার্সের তরফ থেকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আরব আমিরশাহির রাজদূত এই কথা বলেন।
আরেকদিকে, নকদের সমস্যা তে পড়া পাকিস্তান কাতার থেকে তিন বিলিয়ন ডলারের বেলআউট প্যাকেজ পেয়েছে। কাতারের শাসক আমির শেখ তমিম বিন হামাদ এক দিন আগে পাকিস্তান সফর শেষ করেছেন। উনি পাকিস্তানের সাথে ব্যাবসা, আর্থিক তছরুপ আর সন্ত্রাসবাদের সাথে মোকাবিলা করার জন্য সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিগত ১১ মাসে কাতার চতুর্থ এমন দেশ, যারা পাকিস্তানের সহায়তায় এগিয়ে আসল। পাকিস্তান আর্থিক সঙ্কটের সন্মুখিন। পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার দেশকে আর্থিক সঙ্কট থেকে বের করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁরা এখনো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোন কঠিন পদক্ষেপ নেয়নি।