যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: নিম্ন অসমের ধুবড়ির সাংসদ এআইইউডিএফ-প্রধান বদরউদ্দিন আজমলের সঙ্গে ছয় বছরের ঘনিষ্ঠ সম্পৰ্ক! গত ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে সংগঠিত উত্তাল আন্দোলনের সময় দিল্লিতে আজমলের বাড়িতে বৈঠক করেছেন। অসম পুলিশের ক্ৰাইম ব্ৰাঞ্চের টানা জেরায় স্বীকারোক্তি শারজিল ইমামের। এদিকে শারজিলকে আজ গুয়াহাটি মহানগর সিজেএম আদালতে পেশ করে আরও চারদিনের জিম্মায় নিয়েছে পুলিশ।
গত চারদিন ধরে শারজিল ইমামকে ধারাবাহিকভাবে জেরা করছেন অসম পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের পদস্থ ও উচ্চপদস্থ অফিসাররা। জিজ্ঞাসাবাদে অসমের সঙ্গে তার যোগসূত্রের বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার দেবরাজ উপাধ্যায় জানিয়েছেন৷ তিনি জানান, শারজিল নাকি স্বীকার করেছে, ‘সিএএ’-বিরোধী আন্দোলনের সময় নয়াদিল্লিতে এআইইউডিএফ-সুপ্রিমো তথা সাংসদ বদরউদ্দিন আজমলের সঙ্গে তার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে।
যন্তর–মন্তরে ‘সিএএ’-র বিরুদ্ধে এআইইউডিএফ যখন প্ৰতিবাদী কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল তখনও শারজিল ইমামের নেতৃত্বে জেএনইউ-এর এক দলের সঙ্গে আজমল এবং অন্য কয়েকজন দলীয় নেতার বৈঠক হয়েছিল৷ শারজিল নাকি বলেছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন হওয়ার পর দেশের মুসলমানদের কী করতে হবে তার ওপর আলোচনা হয়েছিল আজমলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে৷
এছাড়া ক্ৰাইম ব্ৰাঞ্চের জেরায় শারজিল অসমের আরও কয়েকজন ব্যক্তির নাম নিয়েছে৷ এদের মধ্যে একটি সংবাদগোষ্ঠীর স্বত্বাধিকারী, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ এবং জেএনইউতে অধ্যয়নরত অসমের ছাত্ৰের নাম রয়েছে৷ শারজিল ইমাম বেশ কয়েকবার অসমে এসেছে। আগে কার কার সঙ্গে কোথায় দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে সে সব তথ্য ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে এসে পড়েছে, দাবি পুলিশের।