“নিউ জেনারেশন ফুয়েল” – এ অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে ভারতকে দেখা যাবে বিশ্বের শীর্ষস্থানাধিকারী নেতার ভূমিকায়।
আর ঠিক এইভাবেই “ওপেক” দেশগুলির উপর থেকে ধীরে ধীরে কমতে থাকবে বিশ্বের নির্ভরতা।
সেই প্রথম মোটর গাড়িটির কথা ভাবে দেখুন, ১৯০৮ সালে যা শুধুমাত্র জনসাধারণের জন্যই উপলব্ধ ছিল। কিন্তু তার এক দশকের মধ্যেই, পুরো ইউরোপ জুড়ে সমস্ত প্রচলিত “পশুচালিত যানবাহনের” পরিবর্তে সেখানে নিজের আধিপত্য বিস্তার করে নেয় “মোটর গাড়ি”।
বিশ্বাস করুন বা না করুন “ইন্টারনেট ডেটা এবং বিশেষত সফ্টওয়্যার” পরবর্তী জেনারেশনের জ্বালানিতে পরিণত হতে চলেছে।
যদিও এটা বেশ অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে, তবুও একটু ভালো করে ভেবে দেখুন যে আধুনিক যুগে প্রতি এবং প্রত্যেকটি সেক্টর কীভাবে “সফ্টওয়্যার এবং ইন্টারনেট ডেটা”র উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে, তা সে “স্বাস্থ্যসেবার” মতো পরিশীলিত না হলেও কোনো অসুবিধা নেই। আমরা মনে করি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ইত্যাদির মাধ্যমে কয়েকটি সেক্টর পরিচালনা করা অসম্ভব তবে বাস্তবে এই খাতগুলি উচ্চমানের সফ্টওয়্যার ও প্রযুক্তির উপর আরও বেশী নির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এইধরনের নির্দিষ্ট কিছু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবহার কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। সেই দিন আর খুব বেশী দূরে নেই যখন এই যুগান্তকারী পরিবর্তনের মূল হোতা হবে ইন্টারনেট ডেটা।
এবার আসুন আমরা সেইসব ক্ষেত্রগুলির দিকে চোখ রাখি যেখানে এখনও প্রচলিত শক্তি হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহৃত হচ্ছে, তবে এটা একেবারে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, নবায়নযোগ্য এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির মতো অপ্রচলিত শক্তি অদূর ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানী যেমন পেট্রল, ডিজেল ইত্যাদির স্থান সহজেই দখল করে নেবে। আর ভারত ইতিমধ্যে বিগত কয়েক বছরেই এই বিশেষ ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা হয়ে উঠেছে। উইকিপিডিয়া বা গুগলে আন্তর্জাতিক সোলার অ্যালায়েন্সের বিষয়ে অনুসন্ধান করলেই আপনি দেখতে পাবেন যে ভারতের আইএসএ, যার সদর দপ্তর দিল্লীতে, ইতিমধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংস্থা হিসেবে ইউএনও’র পরবর্তী স্থানটি সসম্মানে দখল করে নিয়েছে। এইভাবে আইএসএ প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের একাধিপত্য বিস্তার করেছে, এবং করেও চলেছে। আর এর সবচেয়ে ভালো দিক হ’ল যে বিশ্বের অন্যান্য কোনো দেশের এই বিষয়ে কোনরকম আপত্তি নেই। আইএসএ ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে “ওয়ার্ল্ড সোলার ব্যাঙ্ক” নামক এক যুগান্তকারী প্রকল্প প্রস্তাবিত করেছে, যেখানে ভারতীয় পিএসইউ যেমন এসবিআই, পাওয়ার ফিনান্স কর্পোরেশন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সৌরশক্তিতে, ভারত বানাতে চলছে “ওয়ান সান, ওয়ান ওয়ার্ল্ড, ওয়ান গ্রিড” নামক একটি প্রোজেক্ট। এই প্রজেক্টে এক স্বতন্ত্র স্মার্ট গ্ৰিডের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে সংযুক্ত করা হবে যাতে আর কখনও বিশ্বে বিদ্যুতের ঘাটতি না ঘটে। এটি মনে রাখতে হবে যে, আমাদের দেশ ইতিমধ্যেই একটি স্মার্ট গ্রিডের সাথে সংযুক্ত রয়েছে এবং এর ফলাফল আমরা তখন বুঝতে পারি যখন আমরা বর্তমান পরিস্থিতির সাথে অতীতের দীর্ঘসময় ধরে চলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার তুলনা করি।
বৈদ্যুতিক যানবাহন, যেগুলো মূলতঃ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির মাধ্যমে চালিত হবে, এইরকম যানবাহনের ধারণার বাস্তব পরিণতি দিতে অগ্ৰণী ভূমিকা পালন করেছে টাটা মোটর, যারা ইতিমধ্যেই এই পরিবর্তনে অগ্ৰদূত হয়ে পথ দেখাচ্ছে সারা বিশ্বকে। এখন “টাটা পাওয়ার”-এর মাধ্যমে চার্জিং স্টেশনগুলি তৈরী হচ্ছে ভীষণ দ্রুতহারে এবং আহমেদাবাদে “টাটা কেমিক্যালস” গড়ে তুলেছে বিশ্বের বৃহত্তম লিথিয়াম ব্যাটারির প্লান্ট।
ভারত সরকারের নির্দেশে এবং কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের উপস্থিতিতে এই ‘ইন্ডিয়ান অয়েল’ ইতিমধ্যেই ‘ইজরায়েল কোম্পানি ফিনার্জী’র সাথে অ্যালুমিনিয়াম এয়ার ব্যাটারীর একটি প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য যৌথ উদ্যোগ নিতে চলেছে। সেইজন্য ইতিমধ্যেই একটি ‘মেমোরোমেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ (মৌ চুক্তি) স্বাক্ষরিত হয়েছে —আয়ার ব্যাটারির এই প্রযুক্তিতে যানবাহনের ব্যাটারীকে চার্জ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আর এর গতি হবে প্রত্যাশিত গতির তুলনায় অনেক বেশী, এবং সেই গতি যে পেট্রোলচালিত যানবাহনের চেয়ে বেশীই হবে সেটা তো বলাবাহুল্য। অন্যদিকে সাশ্রয়ের ব্যাপারেও অ্যালুমিনিয়াম-এয়ার ব্যাটারি তার সমগোত্রীয়দের তুলনায় অনেকাংশে এগিয়ে রয়েছে। কেবলমাত্র কিছু ছোটখাটো সমস্যা যেমন অতিরিক্ত গরম এবং অ্যালুমিনিয়াম বারের ঘন ঘন পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর প্রতি একটু নজর দিলে, খুব সহজেই এটা ব্যবহারকারী বান্ধব হয়ে উঠতে পারবে।
অন্যদিকে টাটা এলকসির মতো সংস্থা চালকবিহীন বৈদ্যুতিক মেট্রো ট্যাক্সি নিয়ে কাজ করছে এবং লারসেন অ্যান্ড টিউবোর কনসোর্টিয়াম এবং এল অ্যান্ড টি টেকনোলজি সার্ভিস ” হাইওয়ে উইথ ওভারহেড ইলেকট্রিক গ্ৰিড” বানানোর ব্যাপারে ভীষণ আগ্ৰহী। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও জনপথ মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়কড়ি এই বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। এরফলে বৈদ্যুতিক ট্রাক, বাস ইত্যাদি তাদের ব্যাটারি চার্জ করতে পারবে রাস্তায় থাকা অবস্থায়। এই প্রস্তাবনা অনুযায়ী এই যানগুলি প্রতি বিজোড় ২০ কিলোমিটার বা তার বেশী দূরত্বে চক্রাকারে নিজেদের গাড়ি চার্জ করে নিতে পারবে এবং তারফলে আরও বেশী গতিতে পরবর্তী ৩০০ কিলোমিটার বা তারও বেশী দূরত্বে যেতে পারবে।
২০১০ সালে একটি গাড়ীর দামের মাত্র ৫% ব্যবহৃত হ’ত সফটওয়্যারের জন্য এবং বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯%। ২০৩০ সালের মধ্যে যা ৪০% হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই বৈপ্লবিক পরিবর্তনের দামামা বেজে গেছে।
আর এইসব কিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে জ্বালানির ভূমিকা পালন করবে ইন্টারনেট ডেটা এবং আমাদের আনন্দিত হওয়া উচিত যে সম্প্রতি বিএসএনএল সাফল্যের সাথে সাবমেরিন অপটিকাল ফাইবার ইনস্টল করতে পেরেছে যারফলে চেন্নাই এবং আন্দামানকে ৪০০ জিবিপিএস-এরও বেশী গতিতে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এখন রিলায়েন্স-জিও ২০০জিবিপিএস গতিসম্পন্ন দুটি সাবমেরিন গিগাফাইবার অর্থাৎ ইন্ডিয়া এশিয়া এক্সপ্রেস (আইএএক্স) এবং ইন্ডিয়া ইউরোপ এক্সপ্রবিস (আইইএক্স) এর মাধ্যমে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক অংশের সাথে সংযুক্ত হওয়ার এক মেগা প্রকল্পের ঘোষণা করেছে, যার প্রথমটি ২০২৩ সালের মধ্যে এবং দ্বিতীয়টির ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এই দুই আন্তর্জাতিক এক্সপ্রেস গিগাফাইবারই হবে ভারতকেন্দ্রিক। আর ঠিক এইভাবেই সবকিছুকে একীভূত করার এক বৈপ্লবিক প্রচেষ্টা চলছে। এটা এখন স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে অদূর ভবিষ্যতে ভারত হয়ে উঠতে চলেছে বিশ্বনেতা, আর সেটাও অন্য দেশের সম্পদ গ্ৰাস করে নয়, বরং সার্বিক উত্থানের মধ্য দিয়ে।
Internet Data will become the Future Fuel & India will become the World Leader again.
India will be the Next Leader of the World through great achivements in “New Generation Fuel”.
By this way dependence of the World on the OPEC Countries will be wiped out.
Just remind the case of first Motor car, which was available to the public in 1908 only, and then within a decade, all the conventional “Animal Drawn Carriages” were replaced by “Motor Cars” in almost whole of Europe.
Believe it or not “Internet Data & Speciality Software” will become the Next Generation Fuel.
Though it sounds quite abnormal but please imagine how each & every sector in the Modern age is dependent on “Software & Internet Data”, no matter can it be as sophisticated sector as “Healthcare”. We may think it is impossible to handle some sectors by way of Artificial Intelligence, Robotics etc. but in realty those sectors can become more dependent on Specialised Software & Technology. Use of Speciality Engineering in each & every field is just a matter of time that too not very far & Internet Data will play the role of Fuel in that Change.
Now come to those fields where Conventional Fossil Fuels are used now a days, It became quite clear that Non Conventional Source of Renewable & Recyclable Energy will replace Fossil Fuels like Petrol, Diesel etc in very near future. And India already became World Leader in that field in past few years. Just search for International Solar Alliance in the wikipedia or in the google you will find how India dominated that field already as ISA is the 2nd Largest Organisation of the World just after UNO headquartered at Delhi and rest of the world have no objection about India’s dominance in each & every field of ISA including World Solar Bank with a projection of as much as 10 Billion Dollar Capital where the Indian PSUs like SBI, Power Finance Corporation etc. will play a vital role.
In case of Solar, India is approaching towards building up an Unique Smart Grid connecting the whole world under the Flagship “One Sun, One World, One Grid” so that there would be no shortage of Power at any point of Time. It is to be keep in mind that whole of our country is already connected by a Smart Grid & the result we can understand if we compare our present situation with those of the earlier days of lengthy Power Cuts.
In the field of Electric Veichle, those which are run by Lithium Ion Battery already become reality as Tata Motor had already became a pioneer company in that field and now charging stations are being made in very aggressive rate by Tata Power where World’s Biggest Plant of Lithium Batteries is being made at Ahmedabad by Tata Chemicals.
Besides this ‘Indian Oil’ under the Guidance of Government of India & in Presence of Union Petroleum Minister Dharmendra Pradhan already signed Memorendum of Understanding (MOU) in the past week with Israeli company Phinergy to create a Joint Venture for setting up a Plant of Aluminium-Air Battery. In this technology even there is no need to charge that Battery & speed of the Veichle can be as much as our desire & obviously way above the limit of Petrol Veichles whereas the affordablity of Alluminium-Air Battery would be much less than its peers, only there are some minor issues like extra heating & change of Aluminum Bar frequently, need to be addressed in such a way so that it can be user friendly.
On the other hand company’s like Tata Elxsi is working on Driverless Electric Metro Taxi. And Consortium of Larsen & Tubro and L&T Technology Service are very keen in making highway with overhead Electric Grid as advocated by Union Minister of Road Transport & Highways, Mr. Nitin Gadkari, so that Electric Trucks, Buses etc. can charge their Batteries on the go i.e.cyclically they can charge for 20 odd Kilometer or so & then can run in much higher speed for next 300 Kilometer or so.
In 2010 only 5% of the Cost of a Car is used for Software but now it increases to 19% & it is projected to increase up to 40% by 2030 with the revolutionary change already begining ro happen.
In maintaining all of these Internet Data will play a role of Fuel & it should give us ample pleasure that recently BSNL successfully installed submarine Optical Fibre connecting Chennai & Andaman with as much as 400 GBPS speed. Now Reliance-Jio declares a mega project of connecting Half of the world with two Submarine Gigafiber namely India Asia Xpress (IAX) & India Europe Xprbes (IEX) with 200 GBPS speed first one of which will be completed within 2023 & the second one within 2024. Both of those International Xpress Gigafiber will be India Centric. In such a way all of these are consolidating, It is now evident that India will become the World Leader in very near future but that is not by sucking the wealth of other countries but by upliftment of all.