পুরভোটের ঠিক আগে ফের কলকাতা থেকে ভুয়ো নথি, জালনোট ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করছে ওপর বাংলার জাল নোট চক্র বলে ধারণা গোয়েন্দা আধিকারিকদের।
স্থানীয় চক্রটিকে সম্ভবত ওপার বাংলার বাংলাদেশী চক্ররা নিয়ন্ত্রণ করতো বলে মনে করছেন তাঁরা। একগুচ্ছ ভুয়ো নথিপত্র-সহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল মোট জন। এদের মধ্যে একজনকে সিঁথি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর বাকি তিনজনের ডেরা মিলেছে হাওড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনজনের আবার যোগসাজশ ছিল আনন্দপুরে অবৈধ বাংলাদেশি (Bangaldeshi) বাসিন্দা পাচারচক্রের অন্যতম মূল পান্ডা মাহফুজুর রহমানের সাথে। ফলে এই তিনজনের গ্রেপ্তারি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও খানিকটা সাহায্য করবে বলে আশাবাদী পুলিশ মহল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়ার জিটি রোডে একটি দোকানের খোঁজ পায় পুলিশ। যেখানে আনন্দপুরের গুলশন বসতি থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের উদ্ধারের ঘটনার মূল পান্ডা মাহফজুর রহমানের যোগাযোগ আছে। তাই ওই মামলার তদন্তেই সেই ডেরায় হানা দেয় পুলিশ। মাহফজুরের সঙ্গে এদের যোগসাজশ থাকায় আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের আজ আদালতে পেশ করা হবে।
জানা গিয়েছে, মাহ্ফুজুরের কাছ থেকে প্রচুর আধার কার্ড এবং আধার কার্ড ও পাসপোর্ট তৈরির জন্য ভুয়ো নথিপত্র মিলেছে। কী কারণে এত সব নথিপত্র সে জমা করছিল, তার তদন্তে নেমেছেন তদন্তকারীরা।
পুরভোটের আগে শহরে জালনোট উদ্ধারেও গ্রেপ্তার হয়েছে ২ জন। ধর্মতলা লাগোয়া ডাফরিন রোড থেকে আরিফ মনসুরি ও আবুতালহা নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সূত্রের খবর, তাদের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সবই ছিল ৫০০ টাকা নোট। ২ জনই রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ভোটের আগেই এসব একাধিক ঘটনায় শহরজুড়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পুলিশের তরফে।