দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মকে অপমান করা পশ্চিমবঙ্গে এক অভ্যাস পরিণত হয়েছে। এই ধরণের অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার হিন্দু সংহতি। প্রভাবশালী দক্ষিণপন্থী সামাজিক সংগঠন হিসেবে এই প্রতিবাদের ও জনমত গড়ে তোলার মাধ্যমে এই ধরণের চক্রান্তকে রুখে দেয়ার কাজে অতীতেও বহুবার সফল হয়েছে হিন্দু সংহতি। দমদমের ভারতচক্র ক্লাবের জুতো দিয়ে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল বানানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শান্তনু সিংহ কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের দপ্তরে এফ আই আর দায়ের করেছিলেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশনের কপি সমস্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর এবং পুলিশের কাছে সার্ভিস করা হয়েছে। মাননীয় চিফ জাস্টিসের কাছে রিট পিটিশন ফাইল করার জন্য লিভ চাওয়া হয়েছে।
হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করার জন্য দমদমের ভারত চক্র ক্লাবের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। পুজোর থিমে কৃষক আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি জানাতে গিয়ে জুতো আর চটি দিয়ে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ও অশোভন বলে সবাই আপত্তি জানাচ্ছে। অনেকে পুজো বয়কট করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছে।
মা দুর্গার প্যান্ডেলে কেন জুতো ও চটি দিয়ে সাজানো হবে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই।
শান্তনুবাবু কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগপত্রে তাঁর বক্তব্য, “আমি একজন ধার্মিক হিন্দু। আমার ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী মাটির তৈরী মা দুর্গার মূর্তিতে প্রাণ সঞ্চারিত হয়েছে। দুর্গাপুজোর চার দিন ওই প্যান্ডেলের মায়ের মূর্তি আমাদের কাছে জীবন্ত এবং ওই স্থানটি দেবমন্দির হয়ে উঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরা খবরের ও ছবির মাধ্যমে জানতে পারি দমদম পার্কের ভারত চক্র ক্লাবের কর্মকর্তারা আমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করেছেন।”
তিনি আরো অভিযোগ করেন ৫০০০০ টাকা অনুদানের বিনিময়ে ক্লাব কমিটি মাতৃময়ী দেবীকে অপমান করতে ছাড়লো না।