প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টার তল্লাশি-কাণ্ডে আইএএস-কে সাসপেন্ড করায় তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। সেই সঙ্গে প্রশাসনিক স্তরেও চলছে চাপানউতোর। বস্তুত, প্রধানমন্ত্রী এসপিজি নিরাপত্তার আওতায় থাকেন। সেই কারণেই প্রশাসনিক স্তরের কারও তাঁর হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালানোর এক্তিয়ার নেই জানিয়ে বুধবার রাতেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
কর্নাটক ক্যাডারের ওই সাসপেন্ড হওয়া আইএএস অফিসারের নাম মহম্মদ মহসিন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিলে দেওয়া একটি নির্দেশে বলা হয়েছিল এসপিজি সুরক্ষার আওতায় থাকা ভিভিআইপি-দের তল্লাশি থেকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টারে তল্লাশির নির্দেশ দিয়ে নাকি সেই নিয়ম ভেঙেছেন মহসিন। মঙ্গলবার ওড়িশার সম্বলপুরে নির্বাচনী সভায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই সময়েই তাঁর হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই পর্যবেক্ষক। অভিযোগ, এর জন্য প্রায় পনেরো মিনিট আটকে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ২০১৪ সালের সেই বিধিতে অবশ্য এমন কোনও নির্দেশ পাওয়া যাচ্ছে না। বরং বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে তল্লাশি চালানো যেতে পারে, এমনটাই বলা হয়েছে সেই নির্দেশিকায়। নির্দেশে বলা হয়েছে, “নির্বাচনের প্রচারে বা নির্বাচন সংক্রান্ত যাতায়াতে কোনও ভাবেই সরকারি গাড়ির ব্যবহার করা যাবে না।”
যাঁরা এসপিজি নিরাপত্তা পান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “এক মাত্র প্রধানমন্ত্রী বা অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যাঁদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হয় সন্ত্রাসবাদী হামলার হাত থেকে সুরক্ষার জন্য, তাঁরা এই নির্দেশের আওতার বাইরে থাকবেন।”
ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার উমেশ সিনহা প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়েছেন, এক সিনিয়র আধিকারিককে তদন্তে পাঠানো হয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে তিনি রিপোর্ট দেবেন।