করোনার সংক্রমণে রাশ টানা এই মুহূর্তে ভারত সরকারের অন্যতম লক্ষ্য, তবে মানুষের জীবনযাত্রার দিকেও ধ্যান রাখতে হবে। দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে যুক্ত প্রয়োজনীয় সাপ্লাই নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে হবে। মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বাৰ্তালাভে এই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের দেশে যতগুলি জেলা রয়েছে, ততই ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আপনারা নিজ নিজ জেলার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। এ জন্যই যখন জেলার জয় হয়, তখন দেশেরও জয় হয়। আপনাদের জেলা করোনাকে হারালে, দেশও করোনাকে পরাজিত করবে।” প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের হাতিয়ার কী? আমাদের হাতিয়ার হল-লোকাল কন্টেনমেন্ট জন, অধিক টেস্টিং এবং মানুষের কাছে সঠিক ও সম্পূর্ণ তথ্য। হাসপাতালে কতগুলি শয্যা উপলব্ধ রয়েছে, কোথায় রয়েছে? এই সমস্ত তথ্য সহজে উপলব্ধ হলে, মানুষের কষ্ট কম হয়। একইভাবে কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সংক্রমণ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, তা দেখা আমাদের দায়িত্ব। এটা তখনই সম্ভব, যখন আমাদের সংক্রমণের স্কেল সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকবে। টেস্টিং, ট্র্যাকিং, ট্রিটমেন্ট ও কোভিড আচরণ-এই সমস্ত লাগাতার উৎসাহ দিতে হবে। কোভিডের পাশাপাশি জেলার নাগরিকদের সহজ জীবনযাত্রার দিকেও নজর রাখতে হবে। আমাদের সংক্রমণও রুখতে হবে এবং দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে যুক্ত প্রয়োজনীয় সাপ্লাই নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে হবে।” শহরের পাশাপাশি করোনা এখন দেশের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকার দিকে আমাদের বিশেষ নজর রাখতে হবে। গ্রামে গ্রামে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং তাঁদের আরও উন্নত চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।” মোদী জানিয়েছেন, “পিএম কেয়ার্সের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি জেলার হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট লাগানোর বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে। জেলাগুলিতে চিকিৎসার পাশাপাশি সমস্ত কিছু সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে কি-না তাও নিশ্চিত করতে হবে। চ্যালেঞ্জ হয়তো অনেক বড়, কিন্তু সাহস আরও বেশি।
2021-05-18