সীমান্তে সেনাবাহিনীর উত্তেজনা কমাতে আজ বৈঠকে ভারত-চিন

সম্প্রতি ভারত-চিন সীমান্তে (Indo-China Boarder) সেনাবাহিনীর মধ্যে তৈরি হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে শনিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। ভারতের তরফে এই বৈঠকের আর্জি জানানো হয়েছে। চুসুল-মোলডোতে ইন্ডিয়ান বর্ডার পয়েন্ট মিটিং হাট-এ হবে এই আলোচনা। শনিবারের বৈঠকে ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন লে-তে থাকা ১৪ কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিংহ। বৈঠকটি হবে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার একেবারে গায়ে চুসুল সেক্টরের মালডো-তে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, কালকের বৈঠকটি দু’দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ডজন খানেক বৈঠক যার মধ্যে সেনার মেজর জেনারেল স্তরেও বৈঠকে ফল না হওয়ায় শেষে ভারত লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ে বৈঠকের ডাক দেয়। বৈঠকে সম্মতি দিয়েছে চিনা সরকার। 

এই মুহূর্তে লাদাখ ছাড়াও উত্তরাখণ্ড ও অরুণাচল সীমান্তে দু’পক্ষ পূর্ণ শক্তি নিয়ে মুখোমুখি। মে মাসের শুরুতে গলওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং লেকের উত্তর প্রান্ত ও নাকু লা সীমান্তে চিন সৈন্য মোতায়েন শুরু করে। জবাবে ভারতও পাল্টা সেনা মোতায়েন শুরু করলে নাকু লা-তে চিন কয়েক কিলোমিটার পিছিয়ে যায়। এর পরে ভারতও ৮০০ মিটার পিছিয়ে এসেছে। প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে প্যাংগং ও গালওয়ান উপত্যকায় স্থিতাবস্থার পক্ষে সওয়াল করা হবে। প্যাংগং লেক ও গোগরার উত্তরে ফিঙ্গার ফোর পর্যন্ত ঢুকে আসা চিনা সেনাদের প্রত্যাহারের প্রশ্নে বেজিং-এর উপর চাপ দেবে সেনাবাহিনী।একই সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে সড়ক নির্মাণের কাজ চালু রাখা হবে বলেও বেজিংকে জানাতে চলেছে দিল্লি। ওই সড়ক শেষ হলে লে থেকে সড়ক পথে সোজা দৌলত বেগ ওল্ডি পর্যন্ত পৌঁছে যাবে ভারতীয় সেনা।

এদিনের এই বৈঠকের আগে শুক্রবার ভারত ও চিনের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, বিবাদ ভুলে শান্তি ও আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে চাইছে দুই দেশ। ইতিমধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের  জয়েন্ট সেক্রেটারি নবীন শ্রীবাস্তব ও চিনের বিদেশমন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল উ জিয়াংঘাও বৈঠক করেন। ইতিমধ্যে চীন-ভারতের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। তবে আজকের বৈঠক থেকে ইতিবাচক কিছু আশা করছে না সাউথ ব্লক। তবে আলোচনার মাধ্যমে আগামী পদক্ষেপ প্রসঙ্গে আগাম পদক্ষেপ বুঝতেই এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে ভারত এমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.