সীমান্তে উত্তেজনা আবহে রাশিয়ায় আজ চিন ও ভারতের বিদেশমন্ত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন। বৃহস্পতিবার মস্কোয় সাংহাই সম্মেলনের ফাঁকে ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে প্রস্তাবিত বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। আজ মস্কোয় চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে বসে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের (S. Jayshankar) এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, “চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হলে সীমান্ত সমস্যার কথা উঠবেই। পূর্ব লাদাখের অবস্থা খুবই গুরুতর।” কারণ, চিনা সরকারের মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর (Global Times) মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। পরে সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য আসন্ন শীতের সময়ে লাদাখ অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে উত্তাপ কিছুটা কমানোর বার্তাও দেয়। কিন্তু লাদাখে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই ফের অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শুরু করেছে চিন। অরুণাচলকে তারা কোনওদিন ভারতের অংশ বলে স্বীকৃতি দেয়নি বলেই উল্লেখ করলেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান (Zhao Lijian)। তাঁর এই মন্তব্যের কথা প্রকাশ্যে আসতেই নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাই বিদেশ মন্ত্রী দের বৈঠকে এই সমস্ত বিষয়গুলি উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমবার চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। তাতে লিজিয়ান বলেছেন, “চিন কোনওদিন তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) -কে স্বীকৃতি দেয়নি। কারণ ওই জায়গাটি চিনের অধীনস্ত দক্ষিণ তিব্বতের একটা অংশ।” অরুণাচল প্রদেশ থেকে চিনা সেনারা পাঁচ জন ভারতীয় যুবককে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠছে তাও অস্বীকার করেছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, পিপলস লিবারেশন আর্মির কাছে অরুণাচল থেকে নিখোঁজ যুবকদের বিষয়ে ভারতীয় সেনার তরফে একটি মেসেজ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, এই বিষয়ে তারা কিছু জানে না।