বন্ধুত্বের হাত ভারতে। ১৭টি দেশের করোনা মোকাবিলায় ভারত যে ভূমিকা নিয়েছে, তার প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এসবের পিছনে ভ্যাকসিন নিয়ে যে কূটনৈতিক চাল রয়েছে, তাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ভ্যাকসিন কূটনীতির এই খেলায় সাফল্য পেয়েছে ভারত। ১৭টি দেশে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ৫৬ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন।
নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার মতো ভারতের বন্ধু দেশগুলিতো বটেই এমনকি মায়ানমার, সেশেলস, আফগানিস্তানেও বিশেষ বিমানে করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে ভারত ছাড়পত্র দেওয়ার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারত থেকে টিকা কিনছে। ইতিমধ্যেই ভূটান, নেপাল, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ ও ব্রাজিলে ভারত থেকে করোনার ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে।
কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ১.৫ মিলিয়ন কোভিশিল্ডের ডোজ ২২ জানুয়ারি মায়ানমারের রেঙ্গুনে পৌঁছেছে। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ৫০ হাজার ডোজ ভারতের ভ্যাকসিন দান কর্মসূচির অংশ হিসাবে সেশেলস পৌঁছাছে ইতিমধ্যেই। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউডের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারত মহাসাগরের চারটি দেশের মধ্যে রয়েছে শুধুমাত্র সেশেলস। সূত্রের খবর, মৈত্রীর সম্পর্কে ভ্যাকসিনগুলির অনুদান ভারত মহাসাগরে অবস্থিত সেশেলসে পাঠানো হয়েছে।
আগামী কিছু দিনের মধ্যেই নিকারাগুয়াতে ২লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে নয়াদিল্লি। এরই সঙ্গে ৫লক্ষ ডোজ পাঠানো হবে ক্যারাবিয়ান কমিউনিটির দেশগুলিতে। ফের ১ কোটি ডোজ যাবে আফ্রিকা ও ১০ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন যাওয়ার কথা রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। ইতিমধ্যেই ভুটানে ১.৫ লক্ষ, মালদ্বীপে ১লক্ষ, নেপালে ১০ লক্ষ, বাংলাদেশে ২০ লক্ষ, মায়ানমারে ১৫ লক্ষ, মরিশাসে ১লক্ষ, সেশেলসে ৫০ হাজার, শ্রীলঙ্কায় ৫লক্ষ, বাহরিনে ১ লক্ষ ও ওমানে ১লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ পৌঁছেছে।
এদিকে, তেসরা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে ৪৩.৯ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মাস ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে ভারতকে প্রথম সারির দেশ হিসেবে প্রমাণ করা গিয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই প্রথম দেশ হিসেবে ভারত ৪০ লক্ষের ঘর ছাড়িয়ে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও লাক্ষাদ্বীপে ভ্যাকসিনেশনের হার সবথেকে বেশি। যথাক্রমে ৬৯ শতাংশ, ৫১ শতাংশ, ৬৪.৭ শতাংশ, ৯০ শতাংশ। তবে দিল্লি, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও মণিপুরে ভ্যাকসিনেশনের হার বেশ কম। জানুয়ারির ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ।