বালাকোটে ভারতের বায়ুসেনার বোমাবর্ষণের আগে সেখানকার জঙ্গি ঘাঁটির নিখুঁত ছবি তুলে এনেছিল ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (এনটিআরও)। এখন জানা যাচ্ছে, শুধু জঙ্গি ঘাঁটি নয়, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের ছবিও তুলে এনেছে এনটিআরও। সেখানে পাকিস্তানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস, এমনকী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অফিস এবং বাসভবনের ছবিও পাওয়া গিয়েছে। এককথায়, পাকিস্তানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের অফিস এমনকী প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অবস্থান সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে ফেলেছেন ভারতের গোয়েন্দারা।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৪০ জনের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেনাবাহিনী এনটিআরও-কে দায়িত্ব দেয়, জঙ্গি ঘাঁটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এনটিআরও উপগ্রহ চিত্র ও রেডারের মাধ্যমে জঙ্গি ঘাঁটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। প্রথমে তারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার আশপাশে থাকা জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছিল। পরে দেখা যায়, জঙ্গিদের অনেকেই সীমান্ত ছেড়ে ঢুকে পড়ছে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে। কারণ তারা নিশ্চিত ছিল, ভারত যে কোনও সময় পালটা আক্রমণ করবে। তখন এনটিআরও পাকিস্তানের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থানের ছবি তুলতে থাকে। বিশেষত জইশ ই মহম্মদের নেতা মৌলানা মাসুদ আজহারের বাসস্থান বাহাওয়ালপুর ও তার আশপাশের ছবি তোলা হয়। একইসঙ্গে ইসলামাবাদের ছবিও তুলে আনে।