বেশি মাত্রায় ভ্যাকসিন বানাতে গুরুত্বপূর্ণ ভারতের পরিকাঠামো, বলছেন বিল গেটস

আগামী দিনে করোনা (Corona Virus) মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ভারতবর্ষের গবেষণা এবং পরিকাঠামো। বিশেষ করে প্রচুর মাত্রায় করোনার ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের পরিকাঠামো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের ভূমিকাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। যিনি কিনা শুরু থেকেই এই লড়াইয়ে এদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে আসছেন।

করোনা (COVID-19) সংক্রমণের শীর্ষাবস্থা অর্থাৎ ‘পিক’ পেরিয়ে এসেছে বেশিরভাগ দেশই। এখন আশঙ্কা দ্বিতীয় ঢেউয়ের। সেই সঙ্গে আরও একটা প্রশ্ন, সব কিছু শেষ করে কতদিনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে মানব সভ্যতা? কারণ এভাবে বন্দিদশায় তো আর বেশিদিন কাটানো সম্ভব নয়। সমস্যা হল, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হলে সবার আগে প্রয়োজন, সবার জন্য ভ্যাকসিন। অর্থাৎ কয়েকশো কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ। আর এখানেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় ভারত। গোটা বিশ্বের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন তৈরির পরিকাঠামো একমাত্র এদেশেই আছে। আর সেটাকেই বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (Bill Gates)। তিনি বলছেন,”ভারত খুব অনুপ্রেরণাদায়ক। কারণ, গত দু’দশকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে এদেশ। আর এখন ভারতের গবেষণা আর পরিকাঠামো করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বেশি মাত্রায় ভ্যাকসিন তৈরিতে।”

করোনার মোকাবিলায় ভ্যাকসিন নিয়ে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই দেখা গিয়েছে তৎপরতা। ভারতও ব্যতিক্রম নয়। সম্ভাবনাময় ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হয়েছে এদেশেও। কিন্তু এখনও চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছয়নি কোনও ভ্যাকসিন। তবে গেটসের কথায় একটা বিষয় স্পষ্ট, ভ্যাকসিন যে দেশেই তৈরি হোক না কেন, তার উৎপাদন এবং বিতরণের ক্ষেত্রে গোটা বিশ্ব ভারতের দিকেই তাকিয়ে আছে। কারণ, ভ্যাকসিনের সেই বিপুল চাহিদা পুরণের ক্ষমতা একমাত্র ভারতেরই আছে। আর সেজন্যই হয়তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে বুক বাজিয়ে দাবি করতে পারছেন, গোটা বিশ্বকে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবে ভারতই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.