ভারতে নাকি বিদেশি ঋণের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে! বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু আসল সত্য এ থেকে শত হস্ত দূরে। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যে এমনই জানা গেল।
তথ্য কী বলছে? বর্তমানে অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ঠিক কত, তা নিয়েই একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৩০, ৪০০ বিলিয়ন ডলার, চিনের ১৩০০০ বিলিয়ন ডলার, ইংল্যান্ড ডুবে আছে ৯০২০ বিলিয়ন ডলারে, ফ্রান্সের অবস্থাও তথৈবচ ৭৩২০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ভারতের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ মাত্র ৬২০ বিলিয়ন ডলার।
এশিয়ার সবদেশই ‘চিনা ঋণের ফাঁদে’ পড়ে ডুবে গেল- এই হল ভারতের বিরুদ্ধে প্রবল প্রপাগান্ডার সার কথা। এই প্রতিবেদন সেটাকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিল। বর্তমানে নিজের শর্তে চলছে ভারত। আমেরিকার হুঁশিয়ারি স্বত্বেও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে। শুধু তাই নয়, মোদীর অনড় অবস্থানের জেরে ভারতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছে আমেরিকাও।
দ্বীপরাষ্ট্রের সংকটের পর দেশের বামপন্থীরা ‘শ্রীলঙ্কা ভূত’ দেখছেন। ভারতের অবস্থাও নাকি এমনই হবে। কিন্তু সেটা যে ভূত দেখার মতোই অবাস্তব, তথ্য পরিসংখ্যান সেটাই আবার প্রমাণ করে দিল।

