দেশে টানা তিনসপ্তাহ বেশি সময় সংক্রমণ শুধুই বেড়েছে। তবে মঙ্গলবার একধাক্কায় প্রায় ১০০০০ সংক্রমণ কমেছে শেষ কিছুদিনের তুলনায়। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যায় মোট সংক্রমণ ৩১ লাখ ৬৭ হাজার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬০,৯৭৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৪৮ জনের। বর্তমানে মোট সংক্রমিত ৩১,৬৭,৩২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৮,৩৯০ জনের। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, দেশে এখন করোনা ভাইরাসের অ্যাক্টিভ কেস ৭,০৪,৩৪৮। এখনও অবধি সুস্থ হয়েছেন ২৪,০৪,৫৮৫ জন।
শেষ তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন টেস্ট বেড়ে যাওয়ায় গোটা দেশেই পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে সে ছবি স্পষ্ট। প্রতিদিন প্রচুর পরীক্ষা হওয়ার পরেই করোনা পজিটিভ হওয়ার গড় হার কমেছে, এমন তথ্যই দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
শেষ কিছুদিন যাবত প্রতিদিনই ৮ লাখ স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভারতে মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৩.৫২ কোটি। শুধু তাই নয় করোনা পজিটিভ হওয়ার হার একধাক্কায় অনেকটাই কমেছে। টেস্ট বাড়াল ফলে দ্রুত নজরে আসছে তাতেই সাফল্য পেয়েছে ভারত, এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। অগাস্ট মাসের ৩-৯ তারিখের মধ্যে প্রতিদিন পজিটিভিটির হার ছিল ৯.৬৭ শতাংশ যা শেষ একসপ্তাহে ৭.৬৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এখনও অবধি ৩,৫২,৯২,২২০ স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে।
ফোকাস টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট। এই নীতি ধরেই প্রতি এক মিলিয়ন জনসংখ্যায় টেস্ট বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, “পরীক্ষা, দ্রুত পদক্ষেপ এবং সঠিক পর্যবেক্ষণের ও চিকিৎসার মাধ্যমে ও হোম আইসোলেশনে এবং মেডিক্যাল কেয়ার এবং সঠিক সময়ে সিদ্ধান্তের দ্বারা শেষ ২১ দিনে সুস্থ হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে”।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, পুণের ল্যাবরেটরি এবং অন্যান্য ১০০টি ল্যাবে পরীক্ষা শুরু করে আরও দ্রুত হয়েছে পদ্ধতি, জুন মাসের ২৩ তারিখ অবধি ১০০০ টেস্টিং ল্যাবকে অনুমোদন দিয়েছে আইসিএমআর। দেশে মোট কোভিড টেস্টের সরকারি ল্যাবরেটারির সংখ্যা ১৪৭০, প্রাইভেট ল্যাব ৫০১, এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সব মিলিয়ে টেস্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাইরাস তাড়াতাড়ি ডিটেক্ট করা সম্ভব হচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষেরদিকে পৌঁছে যেতে পারে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন। দেশে তৈরি তিনটি ভ্যাকসিনের মধ্যে একটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি চলতি বছরের শেষে উৎপাদন শুরু করতে পারবো, এমনটাই আশাপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
দেশের ল্যাবরেটরির সংখ্যা আগে কম ছিল এখন তা বর্তমানে অনেকটা বেড়েছে। ৩.৫ মিলিয়ন স্যাম্পেল এখনও টেস্ট করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে সুস্থতার হার বেড়েছে। বর্তমানে যা ৭৪.৩০ শতাংশ। শুধু তাই নয়, কমেছে মৃত্যুর হার। বর্তমানে যা ১.৮৯ শতাংশ। কমেছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, পুণের ল্যাবরেটরি এবং অন্যান্য ১০০টি ল্যাবে পরীক্ষা শুরু করে আরও দ্রুত হয়েছে পদ্ধতি, জুন মাসের ২৩ তারিখ অবধি ১০০০ টেস্টিং ল্যাবকে অনুমোদন দিয়েছে আইসিএমআর। দেশে মোট কোভিড টেস্টের সরকারি ল্যাবরেটারির সংখ্যা ১৪৭০, প্রাইভেট ল্যাব ৫০১।
তবে দীর্ঘদিন সংক্রমণ বাড়ার পরে একসঙ্গে অনেকটা সংক্রমিতের সংখ্যা কমা অবশ্যই সুখবর। টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট নীতিতেই ভাইরাস তাড়াতাড়ি ডিটেক্ট করা সম্ভব হচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা, চিকিৎসা সবদিকে দ্রুত সফল হচ্ছে ভারত।