সংযুক্ত রাষ্ট্রের সুরক্ষা পরিষদে চীন আবার নাক গলিয়ে মাসুদ আজাহারকে বাঁচিয়ে দিলো। আর এরপর থেকেই সমগ্র ভারতে চীনের দ্রব্য বহিস্কার করার জন্য আবেদন শুরু হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় #BoycottChineseProducts আর #BoycottChina ট্রেন্ড করছে।
কিন্তু এর থেকেও বড় সমস্যা চীনের হয়েছে। এবার তাঁদের সমস্যা তাঁদের দেশকে নিয়ে। এই বছরের প্রথম দুমাসে চীনের আর্থিক স্থিতি বিগত ১৭ বছরের মধ্যে সবথেকে কমজোর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চীনের সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের প্রথম দুই মাসে শিল্প উৎপাদন বিগত ১৭ বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ের নিচে নেমে এসেছে। বেকারত্বের হার গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ৪.৯ শতাংশের তুলনায় এবছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫.৩ শতাংশ হয়ে গেছে।
অর্থশাস্ত্রীদের মতে আমেরিকার সাথে চলা ট্রেড ওয়ারে প্রভাব চীনের অর্থব্যাবস্থায় পড়ছে। আর তাছাড়া এবছরের প্রথমে ছুটি থাকার কারণে দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং গতিবিধি কমে গেছে। চীনের সরকার অর্থব্যাবস্থাকে চাঙ্গা করার জন্য লাগাতার পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিগত কিছু দিনে ট্যাক্সে ছাড় দেওয়া হয়েছে সুদের হার ও কমানো হয়েছে।
চীনের উপভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) গত মাসে এক বছরের কম ছিল। এই তথ্য শনিবার চীনা জাতীয় ব্যুরো স্ট্যাটিস্টিক্স দিয়েছে।
সিপিআই খুচরা মুদ্রাস্ফীতির প্রধান সূচক হিসেবে গণ্য হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের সিপিআই মাত্র ১.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেটা জানুয়ারি মাসে ১.৭ শতাংশ ছিল। লাগাতার চার মাস ধরে চীনের সিপিআই এর বৃদ্ধি দরে পতন হচ্ছে।
চীনের জিডিপি গত বছর ২০১৮ সালে ৬.৬ শতাংশ ছিল, যেটা বিগত ২৮ বছরে সবথেকে কম। সরকার এবছরের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৬.৫০ শতাংশ থাকার অনুমান লাগিয়েছে।