গালওয়ানে (Galwan) রক্তক্ষরণের পর অবশেষে পিছু হঠতে রাজি হল লালফৌজ। মঙ্গলবার লাদাখে ১১ ঘণ্টার কোর কম্যান্ডার লেভেল ম্যারাথন বৈঠকে শেষপর্যন্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) সেনা পিছনোর ব্যাপারে দুই দেশের বাহিনী পারস্পরিক ঐকমত্যে এসেছে বলে জানা গিয়েছে ভারতীয় সেনা সূত্রে। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখের মলডো অঞ্চলে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে দুই সেনার মধ্যে। ভারতীয় সেনার দাবি, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জায়গা গুলি থেকে সরে আসার কথায় রাজি হয়েছে চিনা সেনা (PLA)।
একইসঙ্গে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্থায়ী বাঙ্কার-সহ বিভিন্ন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার বিষয়েও লালফৌজের আধিকারিকরা সম্মতি দিয়েছেন। গালওয়ান উপত্যকার পেট্রলিং পয়েন্ট ১৪ এবং ১৫, গোগরা উপত্যকার (হট স্প্রিং পয়েন্ট) পেট্রলিং পয়েন্ট ১৭, প্যাংগং হ্রদের উত্তরে ফিঙ্গার ৪-৮ পর্যন্ত এলাকায় বেশ কিছু নির্মাণ করেছে চিনা সেনা। উল্লেখ্য, বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীর ১৪ নম্বর কোরের কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। অন্যদিকে চিনের তরফে বৈঠকে ছিলেন পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) দক্ষিণ জিনজিয়াং মিলিটারি রিজিয়নের কম্যান্ডার জেনারেল লিউ লিন। কিন্তু ১১ ঘণ্টার সেই বৈঠকের পর লাদাখে চিনা সেনা পিছু হঠতে রাজি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকায় ১৫ জুন রাতে ভারত-চিনা সেনার সংঘর্ষে শহিদ হন এক কর্নেল-সহ ২০ ভারতীয় জওয়ান। কিন্তু ভারতের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ৪৩ জন লালফৌজের জওয়ান হতাহত হয়েছে। তবে সোমবার বেজিং স্বীকার করে নিয়েছে, সেদিনের সংঘর্ষে পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) এক কম্যান্ডিং অফিসারও নিহত হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার লাদাখের পূর্বদিকে চিন নিয়ন্ত্রিত মলডো অঞ্চলে দুই দেশের সেনার দ্বিপাক্ষিক কোর কম্যান্ডার লেভেল বৈঠকে চিনা সেনার তরফে কম্যান্ডিং অফিসার-সহ কয়েকজন সেনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। গালওয়ানে সংঘর্ষের পর চিনের তরফে প্রথম কোনও অফিসার পদমর্যাদার সেনার মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হল।