আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতায় আমেরিকা থাকবে না। আমেরিকায় ভারতীয় রাজদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সোমবার জানান, কাশ্মীর নিয়ে কয়েক দশক ধরেই আমেরিকা পুরনো নীতি অনুসরণ করে চলছে, আর এর জন্য তাঁরা কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করবেনা। কিন্তু আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক স্তরে কাশ্মীর মামলার সমাধানের জন্য ভারত এবং পাকিস্তানকে উৎসাহিত করবে।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ফক্স নিউজকে জানায়, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন যে, কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব নির্ভর করছে ভারত আর পাকিস্তানের সহমতির উপর। যেহেতু ভারত এই প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না। সেহেতু কাশ্মীর নিয়ে আর নাক গলাবেনা আমেরিকা। ভারতীয় রাজদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘সংযুক্ত রাষ্ট্রের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতিরেসও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে স্পষ্ট বয়ান দিয়েছেন। উনি বলেছেন যে, এই ইস্যু ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি আর লাহোর ঘোষণা পত্রের অনুসারে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।”
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘এই জন্য কাশ্মীর ইস্যুতে কোন তৃতীয় পক্ষে এসে নাক গলাতে পারবেনা। আর রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পও এটাকে স্পষ্ট করে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন আমেরিকার সফরে ছিলেন। তখন একটি সংযুক্ত প্রেস বার্তায় আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হুট করে বলে দিয়েছিলেন যে, ‘কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমার কাছে মধ্যস্থতা করার আবেদন জানিয়েছিলেন।”
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ভারতের রাজনীতিতে ঝড় ওঠে, তখন ভারত থেকেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকার রাষ্ট্রপতির কাছে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মধ্যস্থতা করার কোন আবেদন করেনি। এরপর কয়েকটি রিপোর্টে দেখা গেছে যে, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প মিথ্যে কথা বলতে বেশ পটু। আর তিনি দিনে কমপক্ষে ২৩ টি করে মিথ্যে কথা বলেন। আমেরিকার রাষ্ট্রপতির এই অহেতুক বয়ানের ১০ দিন পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীর নিয়ে নিজের ভাবনা পরিস্কার করে, উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা হটিয়ে দেন।