সামনেই গণেশ চতুর্থী। করোনা আতঙ্ক না কাটলেও ধীরে ধীরে যৎসামান্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। সাজতে শুরু করেছে মহারাষ্ট্রও। রবিবার এই উপলক্ষ্যেই বিশেষ ঘোষণা করল ভারতীয় রেল।
রেলমন্ত্রক জানিয়েছে গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্যে ১৬২টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলি এই উৎসবের ভীড় সামলাতেই চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। কোঙ্কন শাখায় চলবে ট্রেনগুলি। তবে যে সব যাত্রীরা এই ট্রেনগুলিতে চড়বেন, তাঁদের তিনদিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে একথা জানিয়েছে রেল।
প্রতি বছর লক্ষাধিক ভক্ত কোঙ্কন শাখায় যাতায়াত করেন এই গণেশ চতুর্থীর সময়ে। এবার সেই সংখ্যা কিছু কমলেও যাত্রীদের সুবিধার্থেই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়েস্টার্ন রেল ও সেন্ট্রাল রেলের অধীনে ট্রেনগুলি চালানো হবে। ১৬২টি ট্রেন চলবে আহমেদাবাদ/বদোদরা ও রত্নগিরি/কুদল/সাওয়ান্তওয়াড়ি রোড স্টেশনের মধ্যে। যাতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় এড়ানো যায়।
ট্রেন নম্বর ০৯৪১৬ আহমেদাবাদ জংশন- কুদল সাপ্তাহিক স্পেশাল ট্রেন চলবে ১৮ ও ২৫শে অগাষ্ট। ট্রেন নম্বর ০৯৪১৫ কুদল-আহমেদাবাদ সাপ্তাহিক স্পেশাল ট্রেন ১৯ ও ২৬শে অগাষ্ট চলবে। এরকমই আরও ট্রেনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এই বছর মহারাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ বার্ষিক উৎসব গণেশ পুজোতে থাকছে না কোনও ধুমধাম। এমনকী, চোখ ধাঁধানো পুজোগুলিও নিজেদের গণেশ মূর্তির আকার ছোট করে দিয়েছে অনেক। মুম্বইয়ের লালবাগছা রাজা, সর্বশ্রেষ্ঠ পুজো হিসেবে মান্যতা পায়। এবার তাঁদের গণেশ মূর্তির উচ্চতা মাত্র ৪ ফুট রাখা হয়েছে।
একই পরিস্থিতি হায়দারাবাদেও। খইতরাবাদের গণেশ পুজোর উচ্চতা রাখা হয়েছে মাত্র ৯ফুট। শুধু এই দুই জায়গা নয়, গণেশ পুজো বিখ্যাত মহারাষ্ট্র, গোয়া, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতেও। তবে সব জায়গাতেই কোনও ধুমধাম নেই অন্যান্য বছরের মত।
কথিত আছে, সমস্ত শুভ কাজের শুরু শ্রী গণেশের নাম নিয়ে করলে তা সফল হয়। দেবতাদের মধ্যে তাঁকেই প্রথম পূজ্য বলে গণ্য করা হয়। গণেশ পুজো বাদ দিয়ে কোনও পুজোই সম্পূর্ণ হয় না। হিন্দু চন্দ্র-সৌর ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভাদ্রমাসে গণেশ পুজোর আয়োজন করা হয়। ইংরেজি ক্যালেন্ডারে কখনও অগাষ্ট কখনও বা সেপ্টেম্বরে পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, এইদিন গণেশ তাঁর ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন