ভারতীয় রেল (Indian railways) টিকিট বিক্রি করেই টাকা উপার্জন করে এমন নয়, টিকিটের পাশাপাশি আবর্জনা বিক্রি করেও মোটা টাকা উপার্জন করে। ২০২০-২১ বছরে ভারতীয় রেল স্ক্র্যাপ বিক্রি করে যে উপার্জন করেছে তা অনেকের চোখ ছানাবড়া করে তুলেছে। ২০২০-২১ বছরে ভারতীয় রেল ৪৫৭৫ কোটি টাকা উপার্জন করে তাকে লাগিয়ে দিয়েছে।
জানিয়ে দি, ভারতীয় রেলের কাছে অপ্রয়োজনীয় যে সমস্ত পদার্থ জমা হয় তা অনলাইনে বেঁচে দেওয়া হয়। পুরানো ট্র্যাক পাল্টানোর সময়, পুরানো ব্রিজ ভেঙে ফেলার সময় মূলত স্ক্র্যাপ জমা হয়। এছাড়াও পুরানো লোকমেটিভকে রিপেয়ার করার সময় বহু স্ক্র্যাপ জমা হয়। আগের বছর উত্তর রেল স্ক্র্যাপ বিক্রি করে ৪২.১৯ কোটি টাকা উপার্জন করেছিল। কিন্তু এ বছর এই রেকর্ড ভেঙে গেছে।
জুলাই অবধি অর্থাৎ অর্ধ বছরের মধ্যে উত্তর রেল ৮৫.৪৫ কোটি টাকা কমিয়ে নিয়েছে। অর্ধেক সময়ে দ্বিগুন উপার্জন করেছে উত্তর রেল। উত্তর রেল আগেই স্ক্র্যাপ বিক্রি করে ১০০ কোটি টাকা উপার্জনের টার্গেট সেট করেছিল। প্রসঙ্গত, ভারতীয় রেল দেশে পরিষেবা উন্নত করতে লাগাতার প্রয়াস চালাচ্ছে। আগামী বছরের আগস্টের মধ্যে ১০টি নতুন ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস চালু করার জোরদার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
২০২২-এ ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে লক্ষ্যমাত্রা করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, তিনি নিজেই পুরো এই প্রজেক্টটির তত্ত্বাবধাণ করবেন। ওই এক্সপ্রেস ট্রেন ভারতের ১০টি হাইপ্রোফাইল শহরকে সংযুক্ত করবে বলে খবর। ‘বন্দে ভারত’ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি উচ্চতর গতির একটি ট্রেন। এমনকি এই ট্রেন চালানোর কোনও জন্য কোনোরকম ইঞ্জিনেরও প্রয়োজন পড়ে না। ট্রেন নির্মাণের জন্য বেশকিছু চাইনিজ কোম্পানি ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। রেল মিনিস্টার সেই সমস্ত চাইনিজ কোনপানির আবেদন বাতিল করেছে।