৩৮ বছর পর আবারও সারা দেশ জুড়ে থামতে চলেছে রেলের চাকা। রেলের চালক সংগঠন নিজেদের দাবি দাওয়া পূরণের জন্য ১৫ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এর মধ্যে সরকার যদি না কোনো হস্তক্ষেপ করে তবে সোমবারই থামবে রেলের চাকা।
অন্যদিকে রেল বোর্ড, চালক সংগঠনের এই ধর্মঘটকে সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছে। অল ইন্ডিয়া লোকো ইঞ্জিন স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন গত মাসে নিজেদের দাবি নিয়ে রেল বোর্ডকে একটি নোটিশ দেয়। ওই নোটিশে তাঁরা জানায়, ১৯৮০ সালের ফর্মুলা অনুযায়ী চালকদের সেফটি কামরার সুপারিশ করতে হবে, নির্দিষ্ট ঘন্টা পর্যন্ত কাজের সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে, রেল বোর্ডের ১০০ দিনের কাজে তাঁদের অন্তর্ভুক্তি করাতে হবে।
পাশাপাশি সেখানে তাঁরা উল্লেখ করে দাবি মানা না হলে, ১৫ জুলাই ২৪ ঘন্টার অনশন ধর্মঘট এবং ১৬ ও ১৭ জুলাই ট্রেনের চাকা বন্ধ করা হবে।
অপরদিকে রেল বোর্ডের কার্যকরী অধিকর্তা অলোক কুমার সব জোনালকে একটি পাঠিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যাঁরা রেল ধর্মঘট ও ট্রেন চালাতে বাধা দেবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তিনি রেল চালাতে বাধা প্রদানের জন্য ১৯৮৯ সালে রেলের আইন অনুযায়ী ১৭৩, ১৭৪, ১৭৫ ধারায় জোনাল অফিসগুলিতে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রথমবার ১৯৭৩ সালে ১৩ দিনের জন্য রেল ধর্মঘট করেছিল চালকরা। তারপর ১৯৮০ ও ১৯৮১ সালে চালকরা রেল চাকা গড়াতে না দিলে প্রায় ২২০০ কর্মীকে বরখাস্ত করেছিল রেল বোর্ড। ১১৯৪ সালে ওই কর্মীরা আবার চাকরিতে যোগ দেয়। আবার ২০১৯ এ এসে চালক ও রেল প্রশাসনের খারাপ সম্পর্কের জন্য আবার রেল ধর্মঘটের সাক্ষী হবে সাধারণ মানুষ।