প্রথম স্বদেশী বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে ইতিহাস গড়ল ভারত, ২০২২-এ হবে দেশের সেবায় নিযুক্ত

আত্মনির্ভর ভারত বা মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের অন্তর্গত তৈরি হওয়া দেশের প্রথম বিমানবাহক রণতরী বিক্রান্ত (IAC P71 Vikrant) বুধবার প্রথমবার সমুদ্রে নামল। বুধবার থেকেই এই স্বদেশী রণতরীর ট্রায়াল শুরু হয়েছে। জুলাই মাসে এর উপকূলীয় পরীক্ষণ সফল হয়েছিল। এবার এই ট্রায়াল সফল হলেই ২০২২ থেকে নিজের সেবায় নিযুক্ত হয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াবে বিক্রান্ত।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় কার্যালয় বুধবার টুইট করে জানিয়েছে যে, স্বদেশী বিমানবাহক IAC(P71) বিক্রান্তের সামুদ্রিক পরীক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। টুইটে বলা হয় যে, এয়ারক্র্যাফটের ক্যারিয়ারের স্বদেশী নির্মাণ আত্মনির্ভর ভারত আর মেক ইন ইন্ডিয়ার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।


নৌসেনা আজকের এই অবসরকে দেশকে গর্বিত করা আর একটি ঐতিহাসিক দিন বলে আখ্যা দিয়েছে। নৌসেনা বলেছে, ‘ভারত সেই বাছাই করা দেশের মধ্যে জায়গা করে নিল, যাদের কাছে নিজেদের দ্বারা ডিজাইন করা, নির্মাণ করা অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী তৈরি করার বিশিষ্ট ক্ষমতা রয়েছে।”

প্রথম স্বদেশী রণতরী বিক্রান্ত-এর নাম আইএনএস বিক্রান্তের নামে রাখা হয়েছে। আইএনএস বিক্রান্ত ১৯৭১ সালে যুদ্ধে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছিল। তবে এখন সেটি অবসর নিয়েছে। নতুন স্বদেশী রণতরীর নাম ‘আইএসি পি৭১ বিক্রান্ত রাখা হয়েছে।

প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে IAC P71 বিক্রান্তকে তৈরি করা হয়েছে।
২৬২ মিটার দীর্ঘ আর ৬২ মিটার প্রসস্থ এই রণতরী।
কোচিন শিপয়ার্ডে এর নির্মাণ করা হয়েছে।
ঘণ্টায় ৫২ কিমি বেগে সমুদ্রে ছুটতে পারবে বিক্রান্ত। মোট ১৪টি তল রয়েছে এই রণতরীতে।
মোট ১ হাজার ৭০০ নৌসেনার জওয়ানকে বহন করতে সক্ষম এই রণতরী।
৩০টি লড়াকু বিমান আর ৩০টি হেলিকপ্টার একসঙ্গে নিজে যেতে সক্ষম বিক্রান্ত।
এই রণতরীটি বানাতে ৫০-র বেশি ভারতীয় কোম্পানি কাজ করেছে।
প্রায় ৪০ হাজার মানুষ রোজগার পেয়েছে।
মহিলা নৌবাহিনীর জওয়ানদের জন্য এই রণতরীতে বিশেষ বন্দোবস্ত করা আছে।
একবার জলে নামার পর ৭ হাজার ৫০০ মাইলের সফর নির্ধারণ করতে পারবে বিক্রান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.