রাশিয়ার তৈরি বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন Sputnik V। ইতিমধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচের উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে ইন্টারফাক্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে এই মাসের শেষেই প্রথম ব্যাচের উৎপাদন শেষ হবে।
তৈরি হবে মোট ১০০ কোটি ডোজ। অন্যদিকে এই ভ্যাকসিনের প্রথম এবং দ্বিতীয়ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল কেমন হল সে বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে চাইল একের বেশি ভারতীয় কোম্পানি। এমনটাই জানিয়েছে রাশিয়ান মিডিয়া স্পুটনিক।
রাশিয়ার এক সরকারি আধিকারিককে কোট করে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ভারতীয় কোম্পানিগুলির তরফে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড-কে Sputnik V-এর প্রথম এবং দ্বিতীয়ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে”।
এছাড়াও অনুমোদনের পরে ভারতে ভ্যাকসিনের উৎপাদন এবং রফতানি দুই সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে, রাশিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসের মন্তব্যকে এনে এমনটাই উল্লেখ করা রয়েছে রিপোর্টে।
অন্য আরেকটি রিপোর্টে স্পুটনিক জানিয়েছে, রাশিয়ায় ভারতের দূত ভেঙ্কটেশ শর্মা বলেছেন, কোভীড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রিভের সঙ্গে আলোচনা ভালো হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১১ অগস্ট রেজিস্টারড হয়েছে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। কমসময়ে ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়টাকে উদ্বেগের চোখে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ইমিউনিটি তৈরি করছে এই ভ্যাকসিন সেই আশায় পুতিনের এক মেয়ে ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিন নিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল যতদিন না সম্পূর্ণ হচ্ছে ততদিন তা শুধুমাত্র চিকিৎসকরাই সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে। মস্কোর তরফ থেকে পরিকল্পনা করা হয়েছে যে, অক্টোবরেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মাস ভ্যাকসিনেশন অর্থাৎ বহু মানুষকে একসঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।
এরইমাঝে রাশিয়ার তৈরি বিশ্বের প্রথম করোনা টিকা স্পুটনিক ভি (Sputnik-V) নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), শুধু তাই নয় কোভিড-১৯ টিকার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে স্পুটনিক-ভি।
করোনা ভ্যাকসিন তালিকায় যে নয়টি পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাডভান্স স্টেজে আছে সেখান থেকে বাদ পড়েছে রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-ভি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে এগিয়ে আসতে স্বাগত জানিয়েছে হু। কোভ্যাক্স ফেসিলিটির আওতায় কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। সেখানে রয়েছে নয়টি ভ্যাকসিন। এমনকি এই উদ্যোগে বিভিন্ন দেশকে ভ্যাকসিনে লগ্নি করারও আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে সেগুলি সেই দেশ দ্রুত হাতে পায়।