দেশের দুটি রাজ্য অসম আর বিহারে বন্যায় চরম দুর্ভোগ হচ্ছে রাজ্যবাসীর। আর এর মধ্যে গতকাল রাতে ভারী বৃষ্টির জন্য অসমের নলবারি জেলার বলিতারা গ্রামে জলস্তর বেড়ে ওঠে, আর এলাকাবাসী জলের তোড়ে ডুবে যেতে থাকেন। মানুষের উদ্ধারকার্জের জন্য মোতায়েন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা এই খবর পান, খবর পাওয়া মাত্রই তাঁরা মানুষের উদ্ধার কাজে বেড়িয়ে পড়েন। ভারতীয় সেনা সেখানে পৌঁছে ১৫০ মানুষকে বন্যার জলে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচায়। তাঁদের মধ্যে ৬০ জন মহিলা আর বাচ্চাও ছিল।
ভারতীয় সেনার জওয়ানেরা উদ্ধারকার্জ চালানোর সময় বাচ্চাদের নিজের কোলে উঠিয়ে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে দূরে নিয়ে যান। আর মহিলা আর পুরুষদের ঘর বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র পলিথিনে মুড়ে নিয়ে যান জওয়ানেরা। ভারতীয় সেনার জওয়ানেরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে, রাতের অন্ধকারে ভিজে ভিজে মানুষদের জীবন বাঁচাতে লেগে পড়েন।
দুই দিন আগে আসা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিহার আর অসমে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৬ হয়েছে বলে জানা যায়। এক অনুমান অনুযায়ী, এই দুই রাজ্যে বন্যায় প্রভাবিত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লক্ষের থেকেও বেশি বলে জানা যায়। বিহারের সীতামরি জেলা এই বন্যায় সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। গত শনিবার পর্যন্ত ওই জেলায় বন্যায় ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার বন্যা কবলিত সীতামরি আর দারভাঙ্গা জেলার সফর করেন। অসমের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানে মোট ১.৭৯ হেক্টর চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এমনকি কাজিরাঙ্গা ফরেস্টের ৯০ শতাংশ এলাকা জলে ডুবে রয়েছে। বন বিভাগ থেকে জানা যায় যে, গণ্ডার, হাথি, মহিষ এবং হরিনরা জঙ্গলের ভিতরে বানানো কৃত্রিম উঁচু যায়গায় গিয়ে শরণ নিয়েছিল। তবুও কাজিরাঙ্গা ন্যশানাল পার্কে এখনো পর্যন্ত বন্যায় ডুবে ২০৫ টি পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।