মোদি সরকার তিন সেনাবাহিনীকে বড় অধিকার দিয়েছে। পাকিস্তানি সীমান্তে নিরাপত্তা শক্তিশালী করার জন্য সেনাবাহিনীর তিনটি অঙ্গকে অস্ত্রসস্ত্র ও সামরিক হার্ডওয়্যার কেনার জন্য নিজস্ব অধিকার দেওয়া হয়েছে।সরকার কর্তৃক সুরক্ষার জন্য কিছু নিয়ম সহজেই তৈরি করা হয়েছে। আপাতস্থিতিতে তিন বাহিনীকে অস্ত্রসস্ত্র ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি একমাত্র ভেন্ডার থেকে কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত বছর মার্চ মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তিনটি সেনা উপ-প্রধানকে অতিরিক্ত আর্থিক অধিকার দিয়েছিল। অপারেশন সংক্রান্ত প্রস্তুতির জন্য ওই বাজেট 100 কোটি টাকা থেকে বেড়ে 500 কোটি টাকা পর্যন্ত গোলা বারুদ কেনার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
এখন সরকার পাকিস্তানিদের যেকোনো আচকমকা আক্রমনের উত্তর দেওয়ার জন্য তিন বাহিনী সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রসস্ত্র ও যন্ত্রপাতি কিনতে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করেছে। এখন সেনাবাহিনীর তিনটি অঙ্গ 300 কোটি টাকার অস্ত্রসস্ত্র কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করতে পারবে।পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইস এ মহম্মদ পুলওমা হামলা করেছিল, যাতে সিআরপিএফ এর 40 জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। এর পর ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানে
বালাকোটে বিমানস্ট্রাইক করে জইস এর সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।বিমান হামলার পর পাকিস্তানও বিমান হামলা চালানোর দুঃসাহ দেখায় । যদিও ভারতীয় বায়ু সেনা তাদের এক এফ-16 বিমানটিকে ধ্বংস করে। পাকিস্তানি বিমানকে তাড়া করার সময় ভারতের এর মিগ 21 নষ্ট হয়ে যায়। পাকিস্তানে ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমান কে বন্দি করে নেওয়া হয়। কিন্তু ভারতের চাপ সৃষ্টির পর , মাত্র দুই দিন পরেই অভিনন্দনকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় সম্মানের সহিত সুরক্ষিত ভাবে। ভারত ও পাকিস্তানের উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে লক্ষ রেখেই সরকার সেনাকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করেছে।