রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে থেকে মেহবুবা মুফতি দাবি করেছিলেন কাশ্মীরে সেনার অপারেশন বন্ধ করার জন্য। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছিলেন, যেহেতু পবিত্র রমজান মাস আসছে তাই কাশ্মীরে সমস্থ রকমের অপারেশন বন্ধ করা হোক। সার্চ অপারেশন, এনকাউন্টার অপারেশন সবকিছুই বন্ধের জন্য দাবি উঠিয়ে ছিলেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। মেহবুবা অপারেশন বন্ধ রাখার জন্য সেনার কাছে দাবি তো জানিয়েছিলেন কিন্তু কট্টরপন্থদের অনুরোধ করেনি রমজানের সময় শান্তি বজায় রাখতে।
এখন সেই কট্টরপন্থীরা ৫০ জন জওয়ানদের উপর ইট,পাথর ছুঁড়ে গুরুতরভাবে আহত করেছে। ঘটনা কাশ্মীরের বারামুলা এলাকার যেখানে উন্মাদীদের কারণে উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। উত্তেজনার কারণে ন্যাশনাল হাইওয়ের সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে বেশি সংখ্যায় জওয়ান সেনা জওনাদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। উন্মাদীরা যাতে সড়ক জ্যাম না করতে পারে তার জন্যেই বেশি সংখ্যায় জওয়ানদের নিযুক্ত করা হয়েছিল।
কিন্তু ১৩ মে হটাৎ করে কট্টরপন্থীরা বহু সংখ্যায় জমায়েত হয় এবং সেনার জওয়ানদের উপর পাথর ছুঁড়তে আরম্ভ করে। পাথরবাজির ফলে সেনার ৫০ জন জওয়ান গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। যার মধ্যে কিছুজনের অবস্থা খুবই গম্ভীর। অহত জওয়ানদের হসপিটালে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে এবং আরো বেশি সংখ্যায় জওয়ানদের নামানো হয়েছে।
কাশ্মীরের যে নেতার রমজান মাসে সেনার অপারেশন বন্ধ রাখতে চাই তারা এখন কেউ এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়। ৫০ জন সেনা গুরুতরভাবে আহত কিন্ত নেতারা নিজেদের মুখে লাগাম লাগিয়ে বসে আছে। অথচ রমজানের সময় অপারেশন বন্ধ রাখতে এই নেতারা হাজারবার নিজেদের মুখ খোলে। আসলে সেকুলার নেতার দেশের সেনার পাশে দাঁড়াতে মোটেও পছন্দ করে না। শুধুমাত্র জিহাদি শক্তির সমর্থনে মুখ খুলতে পছন্দ করে।