ভারতের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালি করতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার ফ্রান্স থেকে আরও ৩টি রাফালে ফাইটার জেট ভারতের অভিমুখে রওনা দিয়েছে। ফ্রান্স থেকে ভারতে আসার পথে বিমান কোথাও থামবে না। মাঝপথে এতে জ্বালানি ভরার কাজ করবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মাল্টি রোল ট্যাঙ্কার ট্রান্সপোর্ট (MRTT)।
ভারতে প্রথম রাফালে এসেছিল ২০২০ সালের ২৯ জুলাই। ভারত সরকার ফ্রান্সের সঙ্গে ৩৬টি এয়ারক্র্যাফ্টের যে চুক্তি সাক্ষর করেছিল তার প্রায় ৪ বছর পর ভারতে আসে প্রথম ব্যাচের রাফালে। এর খরচ পড়ে ৫৯ হাজার কোটি টাকা। এর পরের ব্যাচে আরও ৩টি রাফালে ভারতে আসে। দিনটি ছিল ৩ নভেম্বর। এবার আরও তিনটি রাফালে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। এই ফাইটার জেটগুলি তৈরি করেছে ফ্রান্স এরোস্পেস মেজর দাসল্ট অ্যাভিয়েশন। সুখোইয়ের পর এটি ভারতের প্রথম বড় ফাইটার জেট আমদানি। এর আগে রাশিয়া থেকে ভারত সুখোই আমদানি করেছিল প্রায় ২৩ বছর আগে।
পূর্ব লাদাখে রাফালে জেট ব্যবহার করা হচ্ছে। এই রাফালে বিমানগুলি প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। ইউরোপীয় ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা MBDA-এর Meteor ভিজ্যুয়াল রেঞ্জের এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, স্কাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং MICA ওয়েপন সিস্টেম রাফালে জেটসের অস্ত্র প্যাকেজের মূল ভিত্তি।
ভারতীয় বায়ুসেনার রাফালে জেটগুলির জন্য একটি নতুন প্রজন্মের মাঝারি-পরিসরের মডুলার এয়ার-টু-গ্র্যান্ড অস্ত্র সিস্টেম হামারও কিনছে। হ্যামার (হাইলি এগাইল মডিউলার মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ) হল ফরাসি প্রতিরক্ষা প্রধান সাফরান নির্মিত একটি যথার্থ গাইডেড মিসাইল। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মূলত ফরাসী বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর জন্য ডিজাইন ও তৈরি করা হয়েছিল। Meteor হল বিভিআর-এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের (BVRAAM) পরবর্তী প্রজন্ম। ব্রিটেন, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন এবং সুইডেনের মুখোমুখি হওয়া সাধারণ হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য MBDA এই অস্ত্রটি তৈরি করেছে।
প্রসঙ্গত, রাফালে বিমানের প্রথম স্কোয়াড্রনটি আম্বালা বিমান ঘাঁটিতে অবস্থিত। এর দ্বিতীয়টি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা বেসে অবস্থিত।