চিনকে রুখতে ২৪টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন বানাবে ভারত

ক্রমশ ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে চিন-পাকিস্তান। সামরিকক্ষেত্রে পাকিস্তানের অবস্থা টলমল হলেও লালচিনের সাহায্য মাঝেমধ্যেই জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে ইসলামাবাদ। অন্যদিকে, পাকবন্ধু লালচিনও ক্রমশ নিজেদের শক্তি বাড়িউয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারতকেও নিজের সীমান্তে আরও সতর্ক থাকতে হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, শত্রুপক্ষের হাত থেকে নিজভূমিকে বাঁচাতে কার্যত প্রত্যেকদিন নিজের শক্তি আরও বাড়িয়ে যাচ্ছে ভারত। গত কয়েক বছরে দফায় পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম এহেন তিনটি মিসাইলের পরীক্ষা করেছে সেনাবাহিনী। যদিও এতেও থেমে থাকতে রাজি নয় সরকার এবং সেনাবাহিনী।

একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে আরও সাবমেরিন তৈরির উপর জোর দিচ্ছে ভারত। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে ভারতের নৌবাহিনীতে আরও ২৪টি সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত হবে। এরমধ্যে পরমাণুচালিত সাবমেরিনও তৈরি করা হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে একাজ সমাপ্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে

চিনকে রুখতে এই বিশাল পরিমাণ সাবমেরিনবহর তৈরি দরকার বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরা। আর সেজন্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এহেন উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের হাতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সাবমেরিন রয়েছে, এই পরিমাণ সাবমেরিন ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে চলে আসলে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী বাহিনী হয়ে উঠবে ভারতীয় নৌবাহিনী। আর সবথেকে বড় বিষয় ভারত মহাসাগরে ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে চিন। আর চিনের দাদাগিরি রুখে বিশাল এই সাবমেরিন-বহর দিয়ে চিনকে রোখা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনা। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বৃহস্পতিবার যে ছাড়পত্র দিল, তাতে চিনের রক্তচাপ যে বাড়তে চলেছে, তাতে সন্দেহ নেই। ভারত রাশিয়া অস্ত্র চুক্তির প্রেক্ষিতে এদিন মস্কোর কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এর ফলে ভারতের হাতে খুব দ্রুত আসছে ২১টি মিগ-২৯s। ভারতের কাছে যে মিগ ফাইটার জেট রয়েছে, তার তুলনায় এগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.