ভারত হবে পরবর্তী পরাশক্তি‚ তবে তা বিশ্বের মঙ্গলের জন্য: মোহন ভাগবত

বিশ্বরাজনীতিতে একটা কথা প্রচলিত আছে – ঊনবিংশ শতক ছিলো ইংল্যান্ড আর ফ্রান্সের। বিংশ শতক ছিলো আমেরিকা আর রাশিয়ার। আর একবিংশ শতক হল ভারত ও চীনের। অর্থাৎ একবিংশ শতকের পৃথিবীর অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি হবে ভারত। এবার সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের গলায়ও সেই সুর শোনা গেলো।

মধ্যপ্রদেশের মহাকৌশল অঞ্চলে তাঁর তিন দিনের সফরে এসে মঙ্গলবার আরএসএস প্রধান বলেন যে বিশ্ব ভারতকে পরবর্তী পরাশক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন যে‚ ভারত বিশ্বগুরু (বিশ্ব নেতা) হতে চলেছে। আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। ভারত হল ভবিষ্যত পরাশক্তি। শুধু আমরা নই, পুরো বিশ্ব এটা বলছে।

শান্তির প্রতি ভারতে আকর্ষণকে ব্যক্ত করে তিনি বলেন‚ “যখন সারা বিশ্ব তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, তখন আমরা সেই যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষত নিরাময়ের কাজ করছিলাম। আমাদের দ্রষ্টারা প্রকৃতপক্ষে সমাজের সবচেয়ে বেশি সেবা করেছেন।

সরসঙ্ঘচালক জানান যে‚ সনাতন ধর্ম হল হিন্দু রাষ্ট্র এবং হিন্দু ঐতিহ্য। এই কারণেই, আগামী দিনে, ভারতকে সুপার পাওয়ার হবে। শক্তি ছাড়া তার মূল্য থাকবে না।

ভারতের শক্তির উদ্দেশ্য ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন‚ “আমাদের শক্তির উদ্দেশ্য অন্যের ক্ষতি করা হবে না বরং এই শক্তি দুর্বলকে রক্ষা করার জন্য।”

আরএসএস এর সরসঙ্ঘচালক ভারতীয়দের “সঠিক” হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। “আমরা কাউকে জয় করব না বা কাউকে পরিবর্তন করব না। দ্রষ্টার নির্দেশনা গ্রহণ করে, আমরা সবাই ধর্মের পথ অনুসরণ করব, তবেই ভারতের পরাশক্তি হওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন।

তাঁর এই সফর আসন্ন নির্বাচনে হিন্দুদের আদর্শগত ভাবে শক্তিশালী করবে বলেই মনে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.