ভারত(India) নিজের গতি ধরে ফেলেছে, প্রচন্ড গতিতে এখন বিকাশের সাথে সাথে আর্থিক মহাশক্তি হওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ভৌগোলিক দিকের কথা লক্ষ করলে, ভারত বিশ্বের সবথেকে উর্বর জমি এবং সবথেকে বেশি প্রতিভাশালী দেশ। তা সত্ত্বেও বেশ কিছু দশকে ভারত অনেকে পিছিয়ে গেছে। অন্যদিকে পাশ্চাত্যের দেশগুলি অর্থাৎ আমেরিকা, ইউরোপ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। তবে আরো একবার সূর্য পশ্চিম দিক ছেড়ে পূর্বের দিকে উঠতে শুরু করেছে। বিগত ৫ বছরে প্রত্যেক অন্তরাষ্ট্রীয় সংগঠন ভারতের প্রশংসা করেছে। এ বছর ভারত ব্রিটেনকে পেছনে ফেলে ৫ তম আর্থিক শক্তি হিসেবে উঠে আসতে চলেছে। ভারতের হটাৎ করে এমন পরিবর্তনের পুরো বিশ্বের নজর রয়েছে। এমনকি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পর্যন্ত ভারতের উপর চমকে দেওয়ার মতো রিপোর্ট পেশ করেছে।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের(World Bank) দাবি ভারত বিশাল বিনিয়োগ এবং স্বদেশীকরণের উপর জোর দিলে আগামী ৩ বছর ভারতের বৃদ্ধির হার ৭.৫০ শতাংশ থাকতে পারে। IHS মার্কেট এর মতে ২০২৫ এ ভারত জাপানকে পেছনে ফেলে এশিয়া প্রশান্ত ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সবথেকে বড় অর্থ ব্যাবস্থা হবে। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৪০ পর্যন্ত আমেরিকা ১ নাম্বার থেকে নেমে ৩ নাম্বরে চলে আসবে। প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপরের মতে ১ ও ২ নাম্বর থাকবে চীন ও ভারত। তবে খেলা পাল্টে যেতেও অর্থাৎ ২০৫০ পর্যন্ত ভারত প্রথম স্থানেও চলে আসতে পারে যদি ভারত শীঘ্রই নিজের কালচারকে ধরে নিতে পারে।
চাণক্য বলতেন, অর্থ্যস মুলম ধর্ম অর্থাৎ নিজের কালচারকে ধরে রাখতে পারলে সেই দেশ আর্থিক সংকটে পড়বে না। ২০৫০ সালে চীনের GDP – 58.499 ট্রিলিয়ন ডলার এবং আমেরিকা GDP- 34.1 ট্রিলিয়ন ডলার থাকবার সম্ভবনা রয়েছে। অর্থাৎ আমেরিকা কোনো ভাবেই চীনকে টক্কর দিতে পারবে না। তবে একটা দেশ আছে যা চীনকে পেছনে ফেলে দিতে পারে। সেই দেশ হলো ভারতবর্ষ। ২০৫০ পর্যন্ত ভারতের GDP- 44.128 ট্রিলিয়ন ডলার হওয়ার ভবিষ্যতবানী করা হয়েছে। অর্থাৎ আমেরিকা থেকে এগিয়ে এবং চীন থেকে সামান্য পিছিয়ে থাকবে ভারত। এমন পরিস্থিতিতে যদি ভারতের যুবশক্তি আরো একটু জোর দেয় তবে ভারত আর্থিক মহাশক্তি অর্থাৎ ১ নাম্বর স্থানেও আসতে পারে।