জবুত হচ্ছে সম্পর্কের ভিত। বাইডেন শাসনকালে আরও কাছাকাছি ভারত-আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউস দখলের পর মাত্র একশো দিনের মধ্যে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার একটি প্রেস বিবৃতিতে একথা জানান মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস। এদিন তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমেরিকার শাসনভার গ্রহণ করার পর সারা বিশ্বের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে সদা প্রস্তুত বাইডেন সরকার। সবসময়ই তাঁর মুখে শোনা যায় বন্ধু দেশ ভারতের প্রশংসা। ক্ষমতায় আসার পর তিনি যেভাবে এই দুই দেশের সম্পর্কের সমীকরণকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল বাইডেনের। এছাড়াও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও বেশ কয়েক বার ফোনে কথা হয়েছে তাঁর।”
শুধু তাই নয়, মার্কিন প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলেচনার জন্য জন কেরি ভারতে ছিলেন। প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ভারত-মার্কিন সুরক্ষা সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতে ছিলেন। তিনি বলেন, “এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মজবুত করতে কতটা উৎসাহী জো বাইডেন সরকার।”
অন্যদিকে, করোনার বিরুদ্ধে ভারতকে লড়তে সাহায্য করছে বাইডেনের আমেরিকা। প্রথম ঢেউয়ের সময় ভারত প্রচুর হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন পাঠিয়েছিল আমেরিকাকে। তখন ট্রাম্পের সরকার ছিল পরে যখনই দরকার পড়েছে ভারত আমেরিকাকে সাহায্য করেছে করোনা যুদ্ধে লড়ার জন্য। দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারত বিপন্ন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা।
করোনা যুদ্ধে লড়ার জন্য প্রচুর সামগ্রী এসে পৌঁছেছে ভারতে। এই নিয়ে ভারতে দ্বিতীয় বিমান এল। আগামী সপ্তাহে এমন আরও কয়েকটি মার্কিন বিমান করোনার যুদ্ধ সামগ্রী নিয়ে এসে পৌঁছবে ভারতে। এয়ারক্রাফট সি ১৭ গ্লোবমাস্টার নামের ওই বিমান ভারতে সাহায্য নিয়ে এসে পৌঁছেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রাভিস এয়ার ফোর্স বেস থেকে করোনা যুদ্ধ সামগ্রী নিয়ে দিল্লিতে পা রাখে।
এই বিমানে ভারতকে অক্সিজেন সাপোর্ট, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, অক্সিজেন জেনারেশন ইউনিট, পিপিই, ভ্যাকসিন ম্যানুফেকচারিং সাপ্লাই, রাপিড ডায়গনেস্টিক টেস্ট, থেরাপিউটিক্স এবং পাবলিক হেলথ আসিস্টেন্স পাঠিয়েছে আমেরিক। মার্কিন সাহায্যের প্রথম বিমানে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কোভিড মোকাবিলা সামগ্রী পাঠানো হয়েছিল।