নতুন ভ্যাকসিন আসছে ভারতে। স্পুটনিক ভি নামক ওই ভ্যাকসিন রাশিয়ায় তৈরি। মে মাসের শুরুতেই ওই রুশ প্রতিষেধক ভারতে আসবে বলে জানা গিয়েছে।
রাশিয়ার ওয়েলথ ফান্ডের তরফে কিরিল দিমিত্রভ জানিয়েছেন, ‘পয়লা মে ভারতে স্পুটনিক ভি এর প্রথম ব্যাচ পৌঁছে যাবে।’ তিনি মনে করছেন রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন ভারতকে অতিমারি কাটিয়ে উঠতে অনেকটাই সাহায্য করবে। তবে তিনি এটা জানাননি যে ঠিক কত ডোজ স্পুটনিক ভ্যাকসিন ভারতে আসবে মে মাসের এক তারিখে। এর আগে ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি রাশিয়ার এই ভ্যাকসিনের ভারতের আসার কথা জানিয়েছে।
ডক্টর রেড্ডিস নামক ওই ল্যাবরেটরি জানিয়েছিল যে, স্পুটনিক নামক রাশিয়ার ভ্যাকসিন আগামী মাসের শেষের দিকে ভারতে চলে আসবে। তাঁরা আশা করছিলেন, ভারতে এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজও এর পরের ধাপে চালু হয়ে যাবে।
তাও কবে থেকে ভারতে উৎপাদিত হবে এই প্রতিষেধক? ওই সংস্থা মারফৎ জানা গিয়েছিল আগামী মাস খানেক সময় লাগবে। খুব বেশি হলে জুলাই মাস অর্থাৎ এই বছরের যে দ্বিতীয় অর্থ বর্ষ রয়েছে তা যখন শুরু হবে তখন থেকেই ভারতে উৎপাদন করা সম্ভব হতে পারে স্পুটনিক ভি নামের ওই ভ্যাকসিন। এরপরে তা ধীরে ধীরে বাজারে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, এপ্রিল মাসেই স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন ভারতে চলে আসতে পারে। সেই কথা জানা গিয়েছিল মস্কোয় ভারতের রাষ্ট্রদূত মারফৎ। সেই অনুযায়ী এপ্রিল মাসেই স্পুটনিক ভি’এর ভারতে আগমনের আশা করা হচ্ছিল। ডক্টর রেড্ডিস নামক ল্যাবরেটরি অবশ্য জানায় যে, ওই ভ্যাকসিন এপ্রিল মাসে আসার সম্ভাবনা কম। তা আসতে আসতে মে মাস হয়েই যাবে। তবে তার আগমন খুব দেরি হচ্ছে না বরং আরও অনেক আগেই হতে চলেছে বলেই খবর মিলছে।
ভারতের বাজারে এখন রয়েছে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড নামের দুই ভ্যাকসিন। গত কিছু মাস ধরে এই দুই ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এবার হাতে আরও একটি বিকল্প বাড়তে চলছে তা বলা যেতেই পারে। অনেক রাজ্য ভ্যাকসিনের ঘাটতি আছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী তা মানতে নারাজ ছিলেন। কিন্তু অনেক রাজ্য সেই অভিযোগ সরাসরি কেন্দ্রকে জানায়। এই যে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে তা লঘু হতে পারে নতুন আরও একটি ভ্যাকসিন ভারতে এলে। কারণ আপাতত যে চাহিদা ও জোগানের অসম পরিস্থিতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে তা কিছুটা ঠিক হতে পারে।